পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e গঞ্জি [ ७०¢ ] গাঞ্জা - - ডাক্তার ওসফনেসি সৰ্ব্বপ্রথমে গাজার গুণাগুণ অবগত হইয় ইহাকে বিলাতী ঔষধে প্রয়োগ করেন। • ইংরাজীতে হেম্প (Hemp) শব্যে শণ বা গাজ উভয়ই বুঝায়। এনসাইক্লোপিডিয়া বৃটানিক প্রভৃতি গ্রন্থেও এই গোল দৃষ্ট হয়। দুই বৃক্ষ এক জাতীয় হইলেও গাজ গাছের আকারে একটু বিশেষত্ব আছে। গজি গাছে কাঠের ভাগ অধিক । ইহা শণ বৃক্ষ অপেক্ষ স্থল। ডাটা সরল, নিম্নদেশ বিস্তৃত, উৰ্দ্ধদেশ সরু । উচ্চে সচরাচর ৪ হস্ত, কখন ৬ হস্ত পর্য্যস্ত হয় । উচ্চ পত্রগুলি ঘোর সবুজ, ফুলগুলি শাদ, তাহাতে সবুজের অভিা দেখা যায়। ইহার শিকড় শাদা মধ্যস্থলে মোটা, দুই দিক্‌ সরু । তfহাতে অনেক রেশ বা আঁশ আছে । গুড়ি সরল, উৰ্দ্ধগ, ও তাহীর পরিধি ৬ হইতে ৮ ইঞ্চি পর্য্যস্ত হইবে। তলদেশ হইতে শাখাগুলি কথন জড়িত ভাবে কথন বা স্বতন্ত্র ভাবে ছড়াইয় পড়ে। সকল স্থানেই রোয় সংযুক্ত। ডালের ভিতর এক প্রকার কোমল শ্বেত মজ্জা বা শস্ত পরিপূর্ণ থাকে। এই মজ্জার উপর বুদ্ধ, বিশিষ্ট একটি স্বক্ষ ভঙ্গপ্রবণ আবরণ আছে। ইহার উপরেই ছাল, লম্বা লম্ব আসে এই ছাল নিৰ্ম্মিত ; সেগুলি সমান্তরাল ভাবে অবস্থিত। পত্রগুলি একট সরুডালের উভয় পাশ্বে বৰ্দ্ধিত । পীত গোড়ার দিক্ হইতে মোট হইয়া ক্রমে সুচাগ্রবৎ সরু । পত্রের পাশ্বদেশ করাতের ন্যায় কাট কাট। পত্র যেখানে বাহির হয়, তথায় হয়ত ৫৭ট একত্র দেথা যায় । ইহার ফুল কতক পুরুষজাতীয় ও কতক স্ত্রীজাতীয় । পুরুষজাতীয় ফুল স্বতন্ত্র গাছে হর । সেগুলি এক এক থোবা একত্র জন্মিয় থাকে ও প্রায়ই অধিক নত হয়। তাছায় গোড়ায় নূতন নুতন কুড়ি ধরিতে থাকে। পরিব্যাণ পাচকোণ । এ গুলিতে নেশাহর না বলিয়। এদেশীয় কৃষকেরা ফেলিয়া দেয় । ইহার ফুলগুলি গুচ্ছ বন্ধিয়া সোজা হইয় উঠে। তাছার মধ্যে ডিম্বকোষ। ডিম্বকোষট অৰ্দ্ধ গোলাকার। তাহাতে একট মাত্র উদ্ভিদ ভ্রণ থাকিতে পারে। ফুলে বীজ বড় হইলেই গাছটা মরিয়া যায়। স্ত্ৰীজাতীয় পুষ্পই এদেশে নেশার জন্ত গাজারূপে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু চাষী লোকেরা এই গুলিকেই মদ বা পুংজাতীয় ঘলিয়া জানে। এই বিশ্বাসে তাহারা প্রকৃত পুংপুষ্পগুলি ক্ষেত্র হইতে বাছিয়া লইয়া ফেলিয়া দেয় । পুংপুষ্প হইলে ভাল মাদক দ্রব্য হর না। বীজে পরিপূর্ণ হইয়৷ বায়। ররেল সাহেব বলেন যে, এক গাছে দুই জাতীয় ফুলই । ফুটিয়া থাকে। কিন্তু সে অনুমানও ঠিক নহে। প্রথম অবস্থায়

  • Johnwarings Pharmacopaeia of India p 464,

V ११ কোন কোন গfছ পুংজাতীয় তাহা নির্ণয় করা বড় কঠিন । তবে যাহারা উহার চাষ করে, তাহারাই কেবল বুঝিতে পারে। গাজীর মধ্যে রজনের মত একপ্রকার চটচটিয়া দ্রব্য থাকে, তাহাতেও বেশ নেশা হয়, এই আঠা কথন কথন স্বতন্ত্রভাবে बांश्द्रि श्हेग्र थांtक । हेशई “कद्रम्” नांटम अछिहिउ । এ দেশের গাছে এই আঠা অল্পই বাহির হয়। কিন্তু হিমালয়প্রদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। চরসেরও মাদকতাশক্তি যথেষ্ট, গাজার মত ধুম টানিয়া নেসাথোরের চরস খায়। এ দেশে গাজাগাছে ফুলের ভিতর চরস্থ থাকে। কিন্তু পুষ্পের মধ্যে ডিম্বকোযের ভিতর বীজ পড়িয়া গর্ভসঞ্চার হইলে এই রস আর থাকে না । এই জন্তই কৃষকেরা গর্ভনিবারণ করিবার এত চেষ্টা করে। স্ত্রী ও পুরুধু উভয়জাতীয় বৃক্ষও আছে। তাছাতে অধিক পত্র হইয়া বৃক্ষটা भूभि श्झ खेळ । डांशंtड कूण श्ञ न । ७ বৃক্ষ থাকিলে গাজার চাযের কোন অনিষ্ট হয় না। ইহাদিগকে থাসিয়া বলে । প্রায় যেখানে সেখানে গাজা গাছ সকল সময়েই জন্মিয়া থাকে। তবে যাহারা ইহার চাষ দেয়, তাহার। আশ্বিন ধ। কাৰ্ত্তিক মাসে ইহার বীজ বপন করে। পৌষ মাখ মাসে গাছে ফুল ধরিতে থাকে। বে জমিতে কোন বড় গাছের ছায়া পড়ে, সেই জমি গাজাগাছের উপযোগী নহে । মাঘ বা ফাল্গুন মাসেই গাজীর ভূমি কর্ষণ করিতে হয়। কোন কোন স্থানে কিছু পরেও হইয় থাকে। তাহার পর তিন চারিদিন অন্তর একটা জমি অন্ততঃ চারিবার কর্ষণ করা আবশ্যক। জমিতে কোমপ্রকার গাছ গাছড়া থাকিবে न । उनि भनिझांद्र रुद्र झाहे। निञ्च छूमि श्tङ नूठन মাটি আনিয়া তাহাতে এক হস্ত বা দুই হস্ত অস্তুর এক এক ঝুড়ি ছড়াইয়া দেওয়া হয় । ইহাকে “বড়কোটা” বলে । কিছুদিন পরে ক্ষেত্রের পাশ্ব হইতে কোদাল দিয়া ঘাসের চাপড়া ও অন্যান্ত গাছ গাছড়া কাটিয়া লইয়া ক্ষেত্র মধ্যে ফেলিয়া দিতে হয়। ইহাকে “চালিকাটা" বলে। পরে নিকটস্থ জমি হইতে মাটি লইয়া আইল উচ্চ করিয়া দিতে হর। ইহাকে “পগরিধান্ধা” বলে। সময় সমর গোবরের সার ও তাহার পর মই দিতে হয়। তাহাতে চাপড় মাটি ভাঙ্গিয়া বায় ও ঘাস জন্মিতে পারে না। বৃষ্টির জলবাহির করিয়া দিবার জন্ত নালি কাটিয়া দেওয়া হয়, তাহাকে ভমর বলে। গোবরাদির সার জমা করিয়া ভাদ্র মাসে জমিতে ছড়াইয়া দেয়। আশ্বিন মাসে আকাশ পরিষ্কার