পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনতিবিলম্বেই নেশা হয়। নেশা হইলে চক্ষু রক্তবর্ণ ও ছোট হয়, মস্তক যেন ঘূরিতে থাকে। তুরস্কে ভিন্ন প্রকারে গাজ খায় । তথায় ইহাকে হাসিস বলে। ডাক্তার পোল্লি একবার নিজে ছালিসের আরক খাইরা ও ছুইটী বন্ধুকে খাওয়াইয় তাহার ফলাফল পরীক্ষা করেন । তিন জনে ৭ গ্ৰেণ করিয়া ঐ আরক তামাক সংযোগে নল দিয়া ধূম টানিয়া ছিলেন । অৰ্দ্ধ ঘণ্টায় কোন নেশা হইলন দেখিয়া কএক মিনিট পরে আবার দুইবার সেবন করিলেন। টান হইতে না হইতে একজন একটা ফরাসী কথা লইয়৷ নানা প্রকার অ কারণ উপহাস করিতে লাগিলেন, তাহার পর কাফি পাত্রে চামচ দিয়া অকারণে ঠেকাঠেকি করিতে আরম্ভ করিলেন। এক ঘণ্টা পয়ে ক্রমে র্তাহার। দেখিলেন, তাহারা বেন পরের বশ হইয়াছেন। নিজের ইচ্ছামত আর কোন কাজ করিতে পারেন না । সকলেই শুনিতেছেন, সকলি দেখিতেছেন কিন্তু যেন কে শুনিতেছে কে দেখিতেছে, এইরূপ বোধ হইতে লাগিল। তাছার পর কথন হাত নাড়েন, কখন পা নাড়েন, কখন লম্ফ কম্প করিতে থাকেন । একজন মত্ত হইয়া অকারণে কাদিয়া ফেলিলেন । কেহ বা অকারণে হাসিতে লাগিলেন । কাছার ও স্মৃতি লোপ হইল। ডাক্তার সাহেব এই মানসিক অবস্থাকে সমুদ্রের তরঙ্গের সহিত তুলনা করিয়াছেন। অনেকক্ষণ পরে ডাক্তারদিগের নেশা ছোটে । একজনের নেশা ছুটিতে ৩৬ ঘণ্ট। লাগিয়াছিল। ১৮৬২ সালে আবগারি নামক ত্রৈমাসিক পত্রে এই বৃত্তাস্ত লিখিত হইয়াছে । এ দেশে সিদ্ধি খাইয়। অনেকের উপরোক্ত রূপ অবস্থা হইতে দেখা গিয়াছে। গাজা খাইলে শীতে শৈত্যামুভব হয় না ; রৌদ্রের তাপ লাগে না, মায়ুষ এক অধস্থায় অনেকক্ষগ থাকিতে পারে। এই জন্ত এ দেশের সন্ন্যাসিগণ গাজা সেবন করিয়া উলঙ্গাবস্থায় থাকিতে কোন কষ্ট বে। ধ করে না। ভারতবর্ষে গাজার ধূমপান বহুদিন হইতে চলিত আছে । গাজা খাইলে মানসিক অবস্থা কিরূপ হয়, তাহা ধূর্তসমাগম নামক সংস্কৃত প্রহসনে এইরূপ লিখিত আছে— “কোলিকাদাকৃষ্য গঙ্গাকিনীং দদাতি। মূলনাশকংস গৌরবং গৃহীত্ব স প্রমোদং আঞ্জার।...অসজ্জাতিমিশ্রঃ সবেদনং— ‘দলতি হৃদয়মেতম্মোহমভ্যেতি চেতঃ। স্কট্ৰতি সকলদেহে কীকসগ্রন্থিসন্ধি . বিরম রিয়ম শিল্পাফুলনাশতমস্যাৎ । শিব শিব শিৰ সদ্যে জীবনং কুট্যতীব। ইতি মোহমুপাগতঃ।” সিবিল সার্জন ডি বক্স বলেন, “গাজ অধিকদিন শাস্ত্রী [ ৩৪৯ ] গাঞি সেবন করিলে লোকে উন্মাদ হইয়া যায়।” একবার মাত্র সেবনে উন্মাদ হইয়া যাওয়ার কথাও শুনা গিরাছে । গাজী হইতে যে সকল অনিষ্ট হয়, তাহ নিবারণ করিবার জন্য অনেকে সচেষ্ট হুইয়াছেন। এ দেশের গবর্মেন্ট নিজহস্তে মাদকদ্রব্যব্যবসার বন্দোবস্ত করেন, তাহীতে অনেক রাজস্ব আদার হর। লোকের সম্মুখে নেশার দ্রব্য আনিয়া গধর্মেন্ট লোককে গাঞ্জাখের করিতেছেন। লোকে তাহাতে উৎসয় যাইতেছে । এই অনিষ্ট নিবারণ করাই মাদকনিবারণীসমিতির উদ্দেশু। ২ বিকৃত্যুশ্ববিশেষ । "চুণে পাশে খয়ের করিব। তার খার। কাল গোরুর গাজা অান ঔষধের সার ।" ( কবিকঙ্কণ । ) গাজাখের ( দেশজ ) যে অধিক গাঞ্জা গায় । গাঞি (গ্রামিন শঙ্কজ) বারেন্দ্র ও রটিশ্রেণীর ব্রাহ্মণ প্রভৃতির পৃথক করিবার উপাধিবিশেষ। পূৰ্ব্বে যাহারা যে গ্রামে বাস করিতেন, তাহাদিগকে সেই গ্রামী নামে উল্লেখ করা হইত, সেই গ্রামের নামই তাছাদের বংশধরগণের গাঞি হইয়াছে। বারেন্দ্রকুলাচাৰ্য্যগণ বারেন্দ্ৰশ্রেণীর মধ্যে ১০ • গাঞি কল্পনা করেন। যথা, (শাণ্ডিল্যগোত্রে) - ১ রুদ্রব্যগছি । ২ লাহেড়ি। ৩ সাধুবাগছি। ৪ চম্পটী । ৫ নন্দনবাসী । ৬ কামেশ্র । ৭ সিহরী । ৮ তাড়োয়াল । ৯ বিশী । ১০ মৎস্তাশী বা মতস্তাশী । ১১ চম্প। ১২ সুবৰ্ণতোটক । ১৩ পুষাণ। ১৪ বেলুড়ি। (কাপ্তপগোত্রে)—১৫ মৈত্র। ১৬ ভাগ্লুড়ি। ১৭ করঞ্জ । ১৮ বলিয়ুষ্ঠি । ১৯ মোধা । ২০ বলিহারী । ২১ মোয়ালী । ১২ কিরল। ১৩ বীজকুঞ্জ। ২৪ শরগামী । ২৫ সহগ্রামী । ২৫ কটিগ্রামী। ২৭ মধ্যগ্রামী। ২৮ মঠগ্রামী। ২৯ গঙ্গাগ্রামী। ৩. বেলগ্রামী । ৩১ চসগ্রামী । ৩২ অশ্রুকোটা । (বাৎস্তগোত্রে )—৩০ সাম্যাল বা সঞ্জামিনী । ৩৪ তীমকালী । ৩৫ ভট্টশালী । ৩৬ কামকালী । ৩৭ কুড়ম্ব বা কুড়মুড়ি । ৩৮ ভাড়িয়াল । ৩৯ লক্ষ। ৪০ জামরুর্থী । ৪১ সিমলী । ৪২ ধোসালী । ৪৩ তামুরি। ৪৪ বৎসগ্রামী । ৪৫ দেউলী । ৪৬ নিদ্রালী। ৪৭ কুকুট । ৪৮ বোঢ়গ্ৰামী । ৪৯ শ্ৰতবট। ৫• অক্ষগ্রামী । ৫১ সাহরী। ৫২ ভীমকালী হাই । ৫৩ পৌণ্ডকালী। ৫৪ কালিন্দী। ৫৫ চতুরাবন্দী। ৫৬ কালী বা কালাই । ( সাবর্ণগোত্রে)—৫৭ সিংদিয়াড়। ৫৮ পাকুড়ী। ৫৯ দধি । ৬. শৃঙ্গী। ৬১ মেদড়ি। ৬২ উদ্ধৃড়ি । ৬৩ ধুন্ধুড়ি। ৬৪ তাড়োয়ার । ৬৫ সেতু। ৬৬ নৈগ্রামী । ৬৭ নেধুড়ি । ৬৮ কপালী । ৬৯ টুটু,ী। ৭• পঞ্চবটা। ৭১ থওবটী। ৭২ নিকড়ি। ৭৩ সমুদ্র। ৭৪ কেতু । १é मृ* ! १७ नैौउजैौ ! ( छद्रषांछाशंttङ्ग)-११ उांशफू ।। १४ W ዓbሥ