পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোয়া [ ¢8१ ] গোয়ালন্দ লক্ষিত হয়। গ্রসিদ্ধ খৃষ্টান ধৰ্ম্মপ্রচারক সেণ্ট জেভিয়ারকে ইহার বিশেষ ভক্তি শ্রদ্ধ করে। পর্তুগীজদিগের প্রথম প্রতিষ্ঠিত পুরাতন গোয়ায় সেণ্টজেভিয়ারের সমাধিস্থান । গোয়াইজের প্রায় তথায় গিয়া করজোড়ে ভক্তিভাবে সেই সিদ্ধপুরুষের পূজা করিয়া আসে। এই সেণ্টজেভিয়ারের জন্যই গোয়। খৃষ্টানদিগের মহাপুণ্য স্থান বলিয়া গণ্য । ১৮৪২, ১৮৭৮ ও শেষে ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে র্তাহার মৃতদেহ প্রদর্শিত হইয়াছিল। তৎকালে পৃথিবীর বহু স্থান হইতে সৰ্ব্ব সম্প্রদায়ের খৃষ্ঠান, বিশেষতঃ লক্ষ লক্ষ ক্যাথলিক, এমন কি অনেক হিন্দু তাহার পবিত্র দেহকঙ্কাল দেথিতে আইসেন। অনেকে বলেন যে, তাছার মৃতদেহের এমনি মহিমা যে অনেক দুশ্চিকিংশ রোগীও দর্শনে ও স্পর্শনে রোগমুক্ত হইয়া থাকে। সেণ্টজেভিয়ারের শবাধারের একটী চাবি গোয়ায় বিশপের নিকট ও অপরট রোমের পোপের নিকট থাকে। ২ পর্তুজাধিকৃত উক্ত গোয়ারাজ্যের প্রধান নগর। এই নামে তিনটী নগর আছে, প্রথমট কদম্বরাজগণের প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন গোপকপুরী, ইহা নদীতীরে অবস্থিত। মুসলমান আক্রমণের পূৰ্ব্বে এখানেই রাজধানী ছিল। এখন পূৰ্ব্ব অট্টালিকাদির চিহ্নমাত্র নাই। ২য়টা পর্তুগীজদিগের প্রথম অধিকৃত গোয়ানগরী, এখন পুরাতন গোয়ী নামে বিথ্যাত । ১৪৭৯ খৃষ্টাব্দে মুসলমানের এই গোয়া স্থাপন করেন, ইহা কদম্বরাজধানী গোপকপুরী হইতে প্রায় ৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত। ১৫১০ খৃষ্টাব্দে আলবুকার্ক এই নগয় অধিকার করেন ও এশিয়াস্থ পর্তুগীজদিগের রাজধানীরূপে পরিণত হয়। খৃষ্টীয় ১৬শ শতত্বে ইহা উন্নতির চরমসীমায় উঠিয়াছিল, তৎকালে ভারতের এক প্রধান বাণিজ্যস্থান বলিয়৷ ইহ বিখ্যাত ছিল। তৎপরে পর্তুগীজদিগের প্রবল প্রতাপ থৰ্ব্ব হইলে এই স্থান খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মমণ্ডলীর একট প্রধান আড্ডা বলিয়া গণ্য হয়। উপর্যুপরি মড়কে এখানকায় অধিবাসীরা এই নগর পরিত্যাগ করিতে থাকে । তৎপরে পঞ্জীম বা নবগোয়ার রাজধানী উঠিয়া গেলে পূৰ্ব্বতন সমৃদ্ধিশালী গোয়ানগরী এককালে শ্ৰীহীন হইয় পড়ে। এখন প্রধান গির্জা ও (খৃষ্টীয়) মঠসমূহে অতি সামান্ত লোকই থাকে। পর্যটকগণ এথানকার পুরাতন অগ্নাগার বা সেলথিান, বোম জিসসের বৃহৎ গির্জা, সেন্ট ফ্রান্সিসের মঠ, সেণ্টজেভিস্বারের সমাধি, মেণ্টকইটানোর কাথিড্রাল, সেন্টমণিকামঠ প্রভৃতি দেখিতে আসেন। মণিকামঠে কএকজন দেশীয় ও পর্তুগীজ কুমাৰী আকৌমার ব্রহ্মচারিণী হইয়া খৃষ্টের সেবার দীক্ষিভ আছেন, যে দিকে তাহার বাস করেন, তখায় পুরুষ བ་ཤ যাইতে পারে না। ১৬০৬ খৃষ্টান্ধে এই মঠ নিৰ্ম্মিত হয়। সেণ্ট কইটানে কাথিড্রাল পর্তুগীজশাসনকৰ্ত্তাদিগের অভিষেক হয় ও মৃত্যু হইলে পর্তুগালে পাঠাইবার পূর্বাবধি এখানে রক্ষিত হইয়া থাকে। এখানকার গির্জাসমূহে খৃষ্টান যাজকদিগের ষেরূপ মহামূল্য পোষাক আছে, ভারতের আর কোন গির্জায় তেমন দেখা যায় না। এক একটা পোষাকের মূল্য ৪৫ লক্ষ টাকা হইবে। উপরোক্ত গির্জাগুলি ছাড়া সেন্ট অগষ্টিন, মেণ্ট জন ডি ভিউস,সেন্ট রোজারিও প্রভৃতি বৃহৎ বৃহৎ মঠ ও গির্জাগুলি ভগ্ন অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে। পূৰ্ব্বোক্ত গির্জাগুলি ছাড়া পুরাতন গোয়ায় আর বাসগৃহ নাই। এখন চারিদিকে নারিকেলের বাগান শোভা পাইতেছে। ১৭৫৯ খৃষ্টাব্দে নদীমুখে পল্লীম্‌ বা নবগোয়ায় রাজধানী স্থাপিত হইল। (ইহাই ৩য় গোয় ) উক্ত বর্ষে যে গুটের দূরীভূত হন, তাহদের সঙ্গে গোয়ার বাণিজ্যজগৎও অন্ধকার হইল। নব গোয়াই এখন পর্তুগীজ-ভারতের রাজধানী। পঞ্জীম্, রিবন্দর ও পুরাতন গোয়ার খানিকটা লইয়। এই নগর ৬ মাইল বিস্তৃত ও মাগুৰী নদীর বামকুলে অবস্থিত। পূৰ্ব্বে পঞ্জীমে কেবল কতকগুলি ধীবরজাতি বাস করিত, যুগ্রফ আদিল শাহ এখানে একটী দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন। ১৮৪৩ খৃষ্টান্ধ হইতে ঐ দুর্গেই পর্তুগীজ রাজপ্রতিনিধির বাসভবন মনোনীত হইয়াছে। এ ছাড়া এখানে উচ্চ আদালত, সেসনকোট, শুষ্ক গ্ৰহণালয়, পুলিস, ডাকঘর, টেলিগ্রাফ অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়, পাঠাগার, সাহিত্য ও বিজ্ঞানসমিতি, সৈনিক হাসপাতাল, কারাগার, অনেক বাজার ও মুণগোলা প্রভৃতি আছে। ইংরাজ গবমেণ্ট এথানকার লবণ প্রস্তুত করিবার ঠিক লষ্টয়াছেন। এখানে প্রায় পনর হাজার লোকের বাস ও প্রায় চারিহাজার গুহ আছে । গোয়ান (কী ) গবা সুষেণাকৃষ্টং যানং মধ্যলো। গোশকট, গোরুর গাড়ী। ময়ুর মতে গোযান আরোহণ কয়িয় স্ত্রীসঙ্গম করা নিধিদ্ধ। ‘মৈথুনন্ত সমাসেবা পুংসি যোষিতি বা দ্বিজ । গোধানেইথ, দিব। চৈবস বাসা মানমচিরেৎ "(মনু,১১৭৪) গোয়ালন্দ, ১ ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত একটা উপবিভাগ। অক্ষা ২৩° ৩১ হইতে ২৩° ৫৫ উঃ ও দ্রাঘি" ৮৯° ২২ হইতে ৮৯ ৫৪′ পূঃ। ভূ-পরিমাণ ৪২৯ বর্গমাইল। এই উপৰিভাগের মধ্যে ৯২৬ খানি গ্রাম ও নগয় এবং গোয়ালন্দ, বেলগাছি ও পাঙ্গদ নামক স্থানে তিনটী পুলিসের খান আছে। ২ উক্ত জেলার নদীকূলস্থিত প্রধান বাণিজ্যস্থান ও নগর ।