পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রহলোক 顧 이 이 উড়ছে উজ্জ্বল একটা লম্বা পুচ্ছ । সাধারণত এই হোলো ওর আকার । এই পুচ্ছটা অতি সূক্ষ্ম বাষ্পের । এত সূক্ষ্ম যে কখনো কখনো তাকে মাড়িয়ে গিয়েছে পৃথিবী, তবু সেট। অনুভব করতে পারিনি । ওর মুগুট উল্কাপিণ্ড দিয়ে তৈরি । এখনকার বড়ো বড়ে পণ্ডিতেরা এই মত স্থির করেছেন যে ধূমকেতুরা সূর্যের বাধা অনুচরেরই দলে । কয়েকটা থাকতে পারে যারা পরিবারভুক্ত নয় যারা আগন্তুক । একবার একটি ধূমকেতুর প্রদক্ষিণপথে ঘটল অপঘাত । বুধের কক্ষপথের পাশ দিয়ে যখন সে চলছিল তখন বুধের সঙ্গে টানাটানিতে তার পথের হয়ে গেল গোলমাল । রেলগাড়ি রেলচু্যত হোলে আবার তাকে রেলে ঠেলে তোলা হয় কিন্তু টাইম-টেবিলের সময় পেরিয়ে যায় । এক্ষেত্রে তাই ঘটল । ধূমকেতুটা আপন পথে যখন ফিরল তখন তার নিদিষ্ট সময় হয়েছে উত্তীর্ণ। ধূমকেতুকে যে পরিমাণ নড়িয়ে দিতে বুধগ্রহের যতখানি টানের জোর লেগেছিল তাই নিয়ে চলল অঙ্ককষা। যার যতটা ওজন সেই পরিমাণ জোরে সে টান লাগায় এটা জানা কথা, এর থেকেই বেরিয়ে পড়ল বুধগ্রহের ওজন । দেখা গেল তেইশটা বুধগ্রহের বাটখারা চাপাতে পারলে তবেই তা পৃথিবীর ওজনের সমান হয় । বুধগ্রহের পরের রাস্তাতেই আসে শুক্রগ্রহের প্রদক্ষিণের পালা । তার ২২৫ দিন লাগে সূর্য ঘুরে আসতে। অর্থাৎ অামাদের সাড়ে সাত মাসে তার বৎসর । ওর মেরুদণ্ড-ঘোরা ঘূর্ণি পাকের বেগ কতটা তা নিয়ে এখনো তর্ক শেষ হয়নি।