পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰহলোক br@。 কথাও শোনা যায় তরুণ বয়সে পুথিবীর অস্তরে যখন তাপ ছিল বেশি, তখন অগ্ন্যুৎপাতে পৃথিবীর ভিতরের সামগ্ৰী এত উপরে ছুটে গিয়েছিল যে পৃথিবীর টান এড়িয়ে গিয়ে সূর্যের চারদিকে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে, মাঝে মাঝে নাগাল পেলেই আবার তাদের পুথিবী নেয় টেনে । বিশেষ বিশেষ দিনে সেই উল্কার যেন হরির লুট হোতে থাকে । এই অতি-ক্ষুদ্রদের পরের রাস্তাতেই দেখা দেয় অতি-মস্ত বড়ো গ্রহ বৃহস্পতি । এই বৃহস্পতি গ্রহের কাছ থেকে কোনো পাকা খবর প্রত্যাশা করার পূর্বে দুটি জিনিস লক্ষ্য করা দরকার । সূর্য থেকে তার দূরত্ব, আর তার আয়তন । পৃথিবীর দূরত্ব ৯ কোটি মাইলের কিছু উপর আর বৃহস্পতির দূরত্ব ৪৮ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল, অর্থাৎ পৃথিবীর দূরত্বের চেয়ে পাচগুণেরও বেশি। পৃথিবী সূর্যের যতটা তাপ পায়, বৃহস্পতি পায় তার সাতাশভাগের একভাগ মাত্র । এককালে জ্যোতিষীরা আন্দাজ করেছিলেন যে, বৃহস্পতি গ্রহ পৃথিবীর মতো এত ঠাণ্ডা হয়ে যায় নি, তার নিজের যথেষ্ট তাপের সঞ্চয় আছে । তার বায়ুমণ্ডলে সর্বদা যে চঞ্চলত দেখা যায় তার নিজের অন্তরের তাপই তার কারণ । কিন্তু যখন বৃহস্পতির তাপমাত্রার হিসাব কষা সম্ভব হোলো তখন দেখা গেল গ্রহটি অত্যন্তই ঠাণ্ড । বরফজমা শৈত্যের চেয়ে আরো ২৮০ ফারেনহাইট ডিগ্রির তলায় পৌছায় তার তাপ