পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

~R с বিশ্ব-পরিচয় চাদেরও একদিন এই দশা হবার কথা । বিজ্ঞানীরা বলেন যে, প্রত্যেকগ্রহকে ঘিরে অাছে একটি করে অদৃশ্য মণ্ডলীর বেড়া, তাকে বলে বিপদের গণ্ডি । তার মধ্যে এসে পড়লেই উপগ্রহের দেহ ফেঁপে উঠে ডিমের মতো লম্বাটে আকার ধরে, তারপরে থাকে ভাঙতে । শেষকালে টুকরোগুলো জোট বেঁধে ঘুরতে থাকে গ্রহের চারদিকে। বিজ্ঞানীদের মতে বৃহস্পতির প্রথম উপগ্রহ এই অদৃশ্য বিপদ-গণ্ডির কাছে এসে পড়েছে, আর কিছুদিন পরে সেখানে ঢুকলেই খণ্ড খণ্ড হয়ে যাবে। শনিগ্রহের মতো বৃহস্পতির চারদিক ঘিরে তখন তৈরি হবে একটি উজ্জল বেষ্টনী। শনিগ্রহের চারিদিকে যে বেষ্টনীর কথা বলা হোলো তার সৃষ্টি সম্বন্ধে পণ্ডিতেরা আন্দাজ করেন যে অনেকদিন আগে শনির একটি উপগ্রহ ঘুরতে ঘুরতে এর বিপদ-গণ্ডির ভিতরে গিয়ে পড়েছিল তার ফলে উপগ্রহটা ভেঙে টুকরো হয়ে আজও এই গ্রহের চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পৃথিবীর বিপদগণ্ডির অনেকটা বাইরে আছে ব’লে চাদের যা পরিবতন হয়েছে তা খুব বেশি না । পৃথিবীর টানের জোরে আস্তে আস্তে চাদ তার কাছে এগিয়ে আসছে,তারপরে যখন ঐ বেড়ার মধ্যে অপঘাতের এলেকায় প্রবেশ করবে তখন যাবে টুকরো টুকরো হয়ে, আর সেই টুকরোগুলো পুথিবীর চারদিক ঘিরে শনিগ্রহের নকল করতে থাকবে, তখন হবে তার শনির দশ । কেম্বি জের অধ্যাপক জেফ রের মত এর উলটো । তিনি