পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ব-পরিচয় "לפ তেজের বেশি ক্ষয় হবার কথা নয় । যে প্রচণ্ড তেজ নিয়ে, সে বায়ুমণ্ডলের প্রত্যন্ত দেশে পৌছয় তার ধাক্কায় সেখানকারহাওয়ার পরমাণু নিশ্চয়ই ভেঙে চুরে ছারখার হয়ে যায়— কেউ আস্ত থাকে না । বাতাসের সর্বোচ্চ ভাগে ভাঙা । পরমাণুর যে স্তরের স্থষ্টি হয় তাকে নাম দেওয়া হয় ( F 2 ) এফ ২ স্তর । সেখানকার খরচের পর বাকি সূর্যকিরণ নিচের ঘনতর বায়ু-মণ্ডলকে আক্রমণ করে, সেখানেও পরমাণুভাঙা যে স্তরের উদ্ভব হয় তার নাম দেওয়া হয়েছে ( F 1 ) এফ ১ স্তর । অারে। নিচে আরো ঘন বাতাসে সূর্যকিরণের আঘাতে পঙ্গু পরমাণুর আরো একটা যে স্তর দেখা দেয়, তার নাম ( E ) ই স্তর । সূর্যকিরণের বেগনি-পারের রশ্মি পরমাণু ভাঙচুরের কাজে সব চেয়ে প্রধান উদ্যোগী । উচ্চতর স্তরে উপদ্রব শেষ করতে করতে বেগনি-পারের রশ্মি অনেকখানি নিঃস্ব হয়ে নিচের হাওয়ায় অল্প পৌছয় । সেটা আমাদের রক্ষে । বেশি হোলে সইত না । সূর্যকিরণ ছাড়া আরো অনেক কালাপাহাড় দূর থেকে আসে বাতাসকে অদৃশ্ব গদাঘাত করতে। যেমন উল্কা, তাদের কথা পূর্বেই বলা হয়েছে। এরা ছুটে আসে গ্ৰহআকাশের ভিতর দিয়ে এক সেকেণ্ডে দশ থেকে একশে । মাইল বেগে । তাদের ঘর্ষণের তাপ জেগে ওঠে, তিন হাজার থেকে সাত হাজার ফারেনহাইট ডিগ্রি পর্যন্ত ; তাতে করে :