পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূলোক సెసె বেগ নি-পারের আলোর তীক্ষ বাণ তৃণমুক্ত হয়ে আসে, বাতাসের অণুগুলোর গায়ে পড়ে তাদের জালিয়ে চুরমার করে দেয়। এ ছাড়া আর এক রশ্মি বর্ষণের কথা পূর্বেই বলা হয়েছে । সে কসমিক রশ্মি । বিশ্বে সেই হচ্ছে সব চেয়ে প্রবল শক্তির বাহন । পৃথিবীর বাতাসে অাছে অক্সিজেন নাইট্রোজেন প্রভৃতি গ্যাসের কোটি কোটি অণুকণা, তা’র অতি দ্রুতবেগে ক্রমাগতই ঘোরাঘুরি করছে, পরস্পরের মধ্যে ঠেকাঠেকি ঠোকাঠুকি চলছেই। যারা হালকা কণা তাদের দৌড় বেশি । সমগ্র দলের যে বেগ তার চেয়ে স্বতন্ত্র ছুটকে। অণুর বেগ অনেক বেশি। সেইজন্যে পৃথিবীর বাহির আঙিনার সীমা থেকে হাইড্রোজেনের খুচরো অণু প্রায়ই পৃথিবীর টান কাটিয়ে বাইরে দৌড় দিচ্ছে । কিন্তু দলের বাইরে অক্সিজেন নাইট্রোজেনের অণুকণার গতি কখনো ধৈর্যহারা পলাতকার বেগ পায় না । সেই কারণে পৃথিবীর বাতাসে তাদের দৈন্ত ঘটেনি ; কেবল তরুণ বয়সে যে হাইড্রোজেন ছিল পৃথিবীর সব চেয়ে প্রধান গ্যাসীয় সম্পত্তি, ক্রমে ক্রমে সেটার অনেকখানিই সে খুইয়ে ফেলেছে। বড়ো বড়ো ডান-ওয়ালা পাখি শুধু ডানা ছড়িয়েই অনেকক্ষণ ধ’রে হাওয়ার উপর ভেসে বেড়ায়, বুঝতে পারি পাখিকে নির্ভর দিতে পারে এতটা ঘনতা আছে বাতাসের । বস্তুত কঠিন ও তরল জিনিসের মতোই হাওয়ারও ওজন মেলে। আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত হাওয়া আছে অনেক