পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ०२ বিশ্ব-পরিচয় ধার ক’রে । পুথিবীতে সমস্ত জন্তুরা মিলে যে অক্সিজেন মিশ্রিত আঙ্গারিক বাষ্প নিশ্বাসের সঙ্গে বের করে দেয় সেট। লাগে গাছপালার প্রয়োজনে । আগুন জ্বালানি থেকে, উদ্ভিদ ও জন্তুদেহের পচানি থেকেও এই বাষ্প বাতাসে ছড়াতে থাকে। পৃথিবীতে কল কারখানায় রান্নার কাজে কয়লা যা পোড়ানো হয় সে বড়ো কম নয়। তার থেকে উদ্ভব হয় বহু কোটি মোন অঙ্গ রাক্সিজেনী গ্যাস। গাছের পক্ষে যে হাওয়ার ভোজের দরকার সেটা এমনি করে জুটতে থাকে ত্যাজ্য পদার্থ থেকে । বাতাসকে মৌলিক পদার্থ বলা চলে না, ওটা মিশল জিনিস। তাতে মিশেছে নানা গ্যাস কিন্তু মেলেনি, একত্রে আছে, এক হয়নি। বাতাসে যে পরিমাণ অক্সিজেন তার প্রায় চারগুণ আছে নাইট্রোজেন । কেবলমাত্র নাইট্রোজেন থাকলে দম আটকিয়ে মরে যে তুম । কেবলমাত্র অক্সিজেনে আমাদের প্রাণবস্তু পুড়ে পুড়ে শেষ হয়ে যেত। এই প্রাণবস্তু কিছু পরিমাণ জ্বলে, আবার জলতে কিছু পরিমাণ বাধা পায়, তবেই আমরা দুই বাড়াবাড়ির মাঝখানে থেকে বাচতে পারি । সমস্ত বায়ুমণ্ডল জলে স্যাৎসে তে । যে জল থাকে মেঘে, তার চেয়ে অনেক বেশি জল অাছে হাওয়ায় । উপরকার বায়ুমণ্ডলে ভাঙা পরমাণুর বৈদ্যুত স্তরের কথা পূর্বে বলেছি । সে ছাড়া সহজ বাতাসের দুটো স্তর আছে । এর যে প্রথম থাকটা পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে, তার বৈজ্ঞানিক নাম troposphere, zittwitz