পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূলোক a లి একে ক্ষুব্ধ স্তর বলা যেতে পারে। পাচ থেকে দশ মাইলের বেশি এর চড়াই নয় । সমগ্র বায়ুমণ্ডলের মাপে এই ক্ষুব্ধ স্তরের উচ্চতা খুবই কম, কিন্তু এইটুকুর মধ্যেই আছে বাতাসের সমস্ত পদার্থের প্রায় ৯০ ভাগ । কাজেই অন্য স্তরের চেয়ে এ স্তর অনেক বেশি ঘন। পৃথিবীর একেবারে গায়ে লেগে আছে ব’লে এই স্তরে সর্বদা পৃথিবীর উত্তাপের ছোয়াচ লাগে । সেই উত্তাপের কমায় বাড়ায় হাওয়া এখানে ক্রমাগত ছুটোছুটি করে । এই স্তরেই তাই ঝড় বৃষ্টি । এর আরো উপরে যে স্তর, পৃথিবীর তাপ সেখানে ঝড় তুফান চালান করতে পারে না । তাই সেখানকার হাওয়া শান্ত । পণ্ডিতেরা এ স্তরের নাম দিয়েছেন stratosphere, বাংলায় আমরা বলব স্তর স্তর । so আদি সূর্য থেকে যেমন পৃথিবী বেরিয়ে এসেছে তেমনি বাষ্পদেহী আদিম পৃথিবী থেকে বেরিয়ে এসেছে চাদ । তার পরে কোটি কোটি বৎসরে পৃথিবী ঠাণ্ডা হয়ে শক্ত হোলো, চাদও হোলো তাই । ২ লক্ষ ৩৯ হাজার মাইল দূরে থেকে ২৭৫ দিনে চাদ পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করছে। সেই প্রদক্ষিণের কালে কেবল একটা পিঠ পৃথিবীর দিকে ফিরিয়ে রেখেছে। এর ব্যাস প্রায় ২১৬০ মাইল, এর উপাদান জল থেকে ৩০ গুণ ভারি। অন্যান্য গ্ৰহ নক্ষত্রের তুলনায় পৃথিবী থেকে এর