পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ব-পরিচয় ریا\ہ د۔ হাওয়া না থাকায় ও ছাইয়ের আবরণ থাকায় সূর্যের অালো নিচে প্রবেশ করতে পারে না ব’লে সঞ্চিত কোনো উত্তাপই চাদে নেই ; তাই এত তাড়াতাড়ি এর উত্তাপ কমে আসে। এসব প্রমাণ থেকে বলা যায় যে, আগ্নেয়গিরির ছাই ঢেকে রেখেছে চাদের প্রায় সব জায়গা | চাদ পৃথিবীর কাছের উপগ্রহ । তার টানের জোর প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করি পৃথিবীর সমুদ্রগুলোতে, সেখানে জোয়ার ভাটা খেলতে থাকে ; আর শুনেছি আমাদের শরীরে জরজারি বাতের ব্যথাও ঐ টানের জোরে জেগে ওঠে । বাতের রোগীরা ভয় করে অমাবস্যা পূর্ণিমাকে । আদিকালে পৃথিবীতে জীবনের কোনো চিহ্নই ছিল না । প্রায় সত্তর আশি কোটি বছর ধরে চলেছিল নানা আকারে তেজের উৎপাত । কোথাও অগ্নিগিরি ফুসছে তপ্ত বাষ্প, উগরে দিচ্ছে তরল ধাতু, ফোয়ারা ছোটাচ্ছে গরম জলের । নিচের থেকে ঠেলা খেয়ে কঁপিছে ফাটছে ভূমিতল, উঠে পড়ছে পাহাড় পর্বত, তলিয়ে যাচ্ছে ভূখণ্ড । পৃথিবীর শুরু থেকে প্রায় দেড়শো কোটি বছর যখন পার হোলো তখন অশান্ত আদি যুগের মাথা-কুটে-মরা অনেকটা থেমেছে। এমন সময়ে সৃষ্টির সকলের চেয়ে আশ্চর্য ঘটনা দেখা দিল । কেমন করে কোথা থেকে প্রাণের ও তার পরে ক্রমশ মনের উদ্ভব হোলো তার ঠিকান পাওয়া যায় না । তার আগে পৃথিবীতে সৃষ্টির কারখানাঘরে তোলাপাড়া ভাঙাগড়া চলছিল প্রাণহীন পদার্থ নিয়ে । তার উপকরণ