পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার একদা জগতের সকলের চেয়ে মহাশ্চর্য বাত বহন ক’রে বহুকোটি বৎসর পূর্বে তরুণ পৃথিবীতে দেখ দিল আমাদের চক্ষুর অদৃশ্য একটি জীবকোষের কণা। কী মহিমার ইতিহাস সে এনেছিল কত গোপনে । দেহে দেহে অপরূপ শিল্প সম্পদশালী তার স্থষ্টিকার্য নব নব পরীক্ষার ভিতর দিয়ে অনবরত চলে আসছে। যোজনা করবার, শোধন করবার, অতি জটিল কমতন্ত্র উদ্ভাবন ও চালনা করবার বুদ্ধি প্রচ্ছন্নভাবে তাদের মধ্যে কোথায় আছে, কেমন করে তাদের ভিতর দিয়ে নিজেকে সক্রিয় করেছে, উত্তরোত্তর অভিজ্ঞতা জমিয়ে তুলছে, ভেবে তার কিনারা পাওয়া যায় না । অতিপেলব বেদনাশীল জীবকোষগুলি বংশাবলী ক্রমে যথাযথ পথে সমষ্টি বাধছে জীবদেহে, নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ; নিজের ভিতরকার উদ্যমে জানি না। কী ক’রে দেহ ক্রিয়ার এমন আশ্চর্য কতব্য বিভাগ করছে । যে কোষ পাকযন্ত্রের, তার কাজ এক রকমের, যে কোষ মস্তিষ্কের, তার কাজ একেবারেই অন্তরকমের। অথচ জীবাণুকোষগুলি মূলে একই। এদের দুরূহ কাজের ভাগবাটোয়ার হোলো কোন হুকুমে এবং এদের বিচিত্র কাজের মিলন ঘটিয়ে স্বাস্থ্য নামে একটা সামঞ্জস্য সাধন করল