পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার Σ Σ Σ. কিসে । জীবাণুকোষের ছটি প্রধান ক্রিয়া আছে, বাইরে থেকে খাবার জুগিয়ে বাচা ও বাড়তে থাকা, আর নিজের অনুরূপ জীবনকে উৎপন্ন ক’রে বংশধারা চালিয়ে যাওয়া । এই আত্মরক্ষা ও বংশরক্ষার জটিল প্রয়াস গোড়াতেই এদের উপর ভর করল কোথা থেকে । অপ্রাণ বিশ্বে যে সব ঘটনা ঘটছে তার পিছনে আছে, সমগ্র জড় জগতের ভূমিকা । মন এই সব ঘটনা জানছে, এই জানার পিছনে মনের একটা বিশ্বভূমিকা কোথায় । পাথর লোহা গ্যাসের নিজের মধ্যে তো জানার সম্পর্ক নেই । এই দুঃসাধ্য প্রশ্ন নিয়ে বিশেষ একটা যুগে প্রাণ মন এল পৃথিবীতে—অতি ক্ষুদ্র জীবকোষকে বাহন ক’রে । পুথিবীতে সৃষ্টি-ইতিহাসে এদের আবির্ভাব অভাবনীয়। কিন্তু সকল কিছুর সঙ্গে সম্বন্ধহীন একান্ত আকস্মিক কোনো অভু্যুৎপাতকে আমাদের বুদ্ধি মানতে চায় না । আমরা জড় বিশ্বের সঙ্গে মনোবিশ্বের মূলগত ঐক্য কল্পনা করতে পারি সর্বব্যাপী তেজ বা জ্যোতিঃ পদার্থের মধ্যে। অনেককাল পরে বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে আপাতদৃষ্টিতে যে সকল স্থল পদার্থ জ্যোতিহীন, তাদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন আকারে নিত্যই জ্যোতির ক্রিয়া চলছে । এই মহাজ্যোতিরই সূক্ষ্ম বিকাশ প্রাণে এবং আরো সূক্ষ্মতর বিকাশ চৈতন্তে ও মনে । বিশ্বস্থষ্টির আদিতে মহাজ্যোতি ছাড়া আর কিছুই যখন পাওয়৷ যায় না, তখন বলা যেতে পারে চৈতন্তে তারই প্রকাশ । জড় থেকে জীবে একে একে পদৰ্ণ উঠে মানুষের মধ্যে এই মহা