পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>ミ বিশ্ব-পরিচয় চৈতন্তের আবরণ ঘোচাবার সাধনা চলেছে । চৈতন্ত্যের এই মুক্তির অভিব্যক্তিই বোধ করি স্থষ্টির শেষ পরিণাম । পণ্ডিতেরা বলেন, বিশ্বজগতের আয়ু ক্রমাগতই ক্ষয় হচ্ছে এ কথা চাপা দিয়ে রাখা চলে না । মানুষের দেহের মতোই তাপ নিয়ে জগতের দেহের শক্তি । তাপের ধম ই হচ্ছে যে, খরচ হোতে হোতে ক্রমশই নেমে যায় তার উষ্মা । সূর্যের উপরি তলের স্তরে যে তাপ শক্তি আছে তার মাত্রা হচ্ছে শূন্ত ডিগ্রির উপরে ছয় হাজার সেন্টিগ্রেড । তারই কিছু কিছু অংশ নিয়ে পৃথিবীতে বাতাস চলছে, জল পড়ছে, প্রাণের উদ্যমে জীব জন্তু চলা ফেরা করছে। সঞ্চয় তো ফুরোচ্ছে, একদিন তাপের শক্তি মহাশূন্যে ব্যাপ্ত হয়ে গেলে আবার তাকে টেনে নিয়ে এনে রূপ দেবার যোগ্য করবে কে । একদিন আমাদের দেহের সদাচঞ্চল তাপশক্তি চারিদিকের সঙ্গে একাকার হয়ে যখন মিলে যায়, তখন কেউ তো তাকে জীবযাত্রায় ফিরিয়ে আনতে পারে না । জগতে যা ঘটছে যা চলছে, পিপড়ের চলা থেকে আকাশে নক্ষত্রের দৌড় পর্যন্ত সমস্তই তো বিশ্বের হিসাবের খাতায় খরচের অঙ্ক ফেলে চলেছে। সে সময়ট। যতদূরেই হোক একদিন বিশ্বের নিত্য খরচের তহবিল থেকে তার তাপের সম্বল ছড়িয়ে পড়বে শূন্তে । এই নিয়ে বিজ্ঞানী গণিতবেত্তা বিশ্বের মৃত্যুকালের গণনায় বসেছিল । আমার মনে এই প্রশ্ন ওঠে সূর্য নক্ষত্র প্রভৃতি জ্যোতিষ্কের আরম্ভ কালের কথাও তো দেখি অঙ্ক পেতে পণ্ডিতেরা নির্দিষ্ট