পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|| 0 মূল্যও আছে, ছেলেবেলা থেকে মূল্য ফাকি দেওয়া অভ্যাস হোতে থাকলে যথার্থ আনন্দের অধিকারকে ফাকি দেওয়া হয়। চিবিয়ে খাওয়াতেই একদিকে দাত শক্ত হয় আর একদিকে খাওয়ার পুরো স্বাদ পাওয়া যায়, এ বই লেখবার সময়ে সে কথাটা সাধ্যমতো ভুলিনি। শ্ৰীমান প্রমথনাথ সেনগুপ্ত এম, এস-সি তোমারি ভূতপূর্ব ছাত্র । তিনি শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান-অধ্যাপক । বইখানি লেখবার ভার প্রথমে তার উপরেই দিয়েছিলেম । ক্রমশ সরে সরে ভারটা অনেকটা আমার উপরেই এসে পড়ল। তিনি না শুরু করলে আমি সমাধা করতে পারতুম না, তাছাড়া অনভ্যস্ত পথে শেষ পর্যন্ত অব্যবসায়ীর সাহসে কুলোত না । তার কাছ থেকে ভরসাও পেয়েছি সাহায্যও পেয়েছি । আলমোড়ায় নিভৃতে এসে লেখাটাকে সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। মস্তে সুযোগ হোলো আমার স্নেহাস্পদ বন্ধু বশী সেনকে পেয়ে । তিনি যত্ন করে এই রচনার সমস্তটা পড়েছেন। পড়ে খুশি হয়েছেন এইটেতেই আমার সব চেয়ে লাভ । আমার অসুখ অবস্থায় স্নেহাস্পদ শ্ৰীযুক্ত রাজশেখর বসু মহাশয় যত্ন ক’রে প্রফ সংশোধন করে দিয়ে বইখানি প্রকাশের কাজে আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন ; এজন্য। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ । শাস্তিনিকেতন *~, ( | রবান্দ্রনাথ ঠাকুর ২ আশ্বিন, ১৩৪৪