পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ব-পরিচয় وصا পৃথিবীর বাইরে থেকে একটা খুব বড়ো খবর খুব জোরের সঙ্গে এসে পৌছচ্ছে, সে হচ্ছে রৌদ্রের উত্তাপ । এ খবরট। ন কোটি ত্রিশ লক্ষ মাইল দূরের । কিন্তু ঐ তো আকাশে আকাশে আছে বহুকোটি নক্ষত্র, তাদের মধ্যে কোনো কোনোটি সূর্যের চেয়ে বহু গুণ বেশি উত্তপ্ত । কিন্তু আমাদের ভাগ্য গুণে তাদের সম্মিলিত গরম পথেই এতটা মারা গেল যে বিশ্বজোড়া অগ্নিকাণ্ডে আমাদের আকাশট। দুঃসহ হোলো না । কত দূরের এই পথ, কত প্রকাণ্ড এই আকাশ । তাপের অনুভূতিকে স্পৰ্শ-করা ন কোটি মাইল তার কাছে তুচ্ছ । বড়ো যজ্ঞের রান্নাঘরে যে চুলি জ্বলছে তার কাছে বস আরামের নয়, কিন্তু বেলা দশটার কাছাকাছি শহরের সমস্ত রান্নাঘরে যে আগুন জ্বলে বড়ো আকাশে তা ছড়িয়ে যায় ব’লেই শহরে বাস করতে পারি । নক্ষত্ৰলোকের ব্যাপারটাও সেই রকম । সেখানকার আগুনের ঘটা যতই প্রচণ্ড হোক, তার চারদিকের আকাশটা আরো অনেক প্রকাণ্ড । এই বিরাট দূরত্ব থেকেও নক্ষত্রদের অস্তিত্বের খবর এনে দিচ্ছে কিসে । সহজ উত্তর হচ্ছে আলো । কিন্তু আলো যে চুপচাপ বসে খবর আউড়িয়ে যায় না, আলো যে ডাকের, পেয়াদার মতো খবর পিঠে করে নিয়ে দৌড়ে চলে, বিজ্ঞানের এই একটা মস্ত আবিষ্কার । চলা বলতে সামান্ত চলা নয়, এমন চলা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আর কোনো দূতেরই নেই । আমরা ছোটো পৃথিবীর মানুষ, তাই এতকাল জগতের সব চেয়ে বড়ো চলার কথাটা জানবার সুযোগ পাইনি। একদিন