পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b’ বিশ্ব-পরিচয় যথেষ্ট হোত, কিন্তু আরো দূরের নক্ষত্র আছে যেখান থেকে আলো আসতে বহু লক্ষ বছর লাগে । আকাশে আলোর এই চলাচলের খবর বেয়ে বিজ্ঞানে একটা প্রশ্ন উঠল, তার চলার ভঙ্গীট কী রকম । সেও এক আশ্চর্য কথা। উত্তর পাওয়া গেছে তার চলা অতি সূক্ষ্ম ঢেউয়ের মতো । কিসের ঢেউ সে কথা ভেবে পাওয়া যায় না ; কেবল আলোর ব্যবহার থেকে এটা একেবারে নিশ্চিত জান৷ গেছে ওটা ঢেউ বটে। কিন্তু মানুষের মনকে হয়রান করবার জন্তে সঙ্গে সঙ্গেই একটা জুড়ি খবর তার সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে হাজির হোলো, জানিয়ে দিলে আলো অসংখ্য জ্যোতিষ্কণা নিয়ে ; অতি খুদে ছিটে-গুলির মতো ক্রমাগত তার বর্ষণ । এই দুটো উলটে। খবরের মিলন হোলো কোনখানে তা ভেবে পাওয়া যায় না। এর চেয়েও আশ্চর্য একটা পরস্পর উলটো কথা আছে, সে হচ্ছে এই যে, বাইরে যেটা ঘটছে সেটা একটা-কিছু ঢেউ আর বর্ষণ, আর ভিতরে আমরা যা পাচ্ছি তা, না এটা, না ওটা, তাকে আমরা বলি আলো ;– এর মানে কী, কোনো পণ্ডিত তা বলতে পারলেন না । যা ভেবে ওঠা যায় না, যা দেখাশোনার বাইরে, তার । এত সূক্ষ্ম এবং এত প্রকাণ্ড খবর পাওয়া গেল কী করে, এ। প্রশ্ন মনে আসতে পারে । নিশ্চিত প্রমাণ আছে, আপাতত, এ কথা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। র্যারা প্রমাণ সংগ্ৰহ করেছেন অসাধারণ তাদের জ্ঞানের তপস্যা, অত্যন্ত দুর্গম র্তাদের সন্ধানের পথ । তাদের কথা যাচাই ক’রে নিতে যে