পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক సా বিদ্যা বুদ্ধির দরকার, তাও আমাদের অনেকের নেই । অল্প বিদ্যা নিয়ে অবিশ্বাস করতে গেলে ঠকতে হবে। প্রমাণের রাস্তা খোলাই আছে। সেই রাস্তায় চলবার সাধনা যদি করো, শক্তি যদি হয়, তবে একদিন এ সব বিষয় নিয়ে সওয়াল জবাব সহজেই হোতে পারবে । আপাতত আলোর ঢেউয়ের কথাই বুঝে নেওয়া যাক । এই ঢেউ একটিমাত্র ঢেউয়ের ধারা নয় । এর সঙ্গে অনেক ঢেউ দল বেঁধেছে । কতকগুলি চোখে পড়ে, অনেকগুলি পড়ে না । এইখানে ব’লে রাখা ভালো, যে-আলো চোখে পড়ে না, চলতি ভাষায় তাকে আলো বলে না। কিন্তু দৃশুই হোক, অদৃশ্যই হোক, একটা কোনো শক্তির এই ধরণের ঢেউ-খেলিয়ে চলাই যখন উভয়েরই স্বভাব, তখন বিশ্বতত্ত্বের বইয়ে ওদের পৃথক নাম অসংগত। বড়ো ভাই নামজাদ, ছোটো ভাইকে কেউ জানে না, তবু বংশগত ঐক্য ধরে উভয়েরই থাকে একই উপাধি, এও তেমনি । o আলোর ঢেউয়ের আপন দলের আরো একটি ঢেউ আছে, সেটা চোখে দেখিনে, স্পর্শে বুঝি। সেটা তাপের ঢেউ । .স্বষ্টির কাজে তার খুবই প্রতাপ । এমনিতরো আলোর ঢেউজাতীয় নানা পদার্থের কোনোটা দেখা যায়, কোনোট। স্পর্শে বোঝা যায়, কোনোটাকে স্পষ্ট আলো-রূপে জানি আবার সঙ্গে সঙ্গেই তাপরুপেও বুঝি, কোনোটাকে দেখাও যায় না, স্পর্শেও পাওয়া যায় না । আমাদের কাছে প্রকাশিত অপ্রকাশিত আলো-তরঙ্গের ভিড়কে যদি এক নাম দিতে হয়,