পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о বিশ্ব-পরিচয় তবে তাকে তেজ বলা যেতে পারে । বিশ্বসৃষ্টির আদি অস্তে মধ্যে প্রকাশ্যে আছে বা লুকিয়ে আছে বিভিন্ন অবস্থায় এই তেজের র্কাপন । পাথর হোক লোহা হোক বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় তাদের মধ্যে কোনো নড়াচড়া নেই । তারা যেন স্থিরত্বের আদর্শস্থল । কিন্তু এ কথা প্রমাণ হয়ে গেছে যে তাদের অণু পরমাণু, অর্থাৎ অতি সূক্ষ্ম পদার্থ, যাদের দেখতে পাইনে, অথচ যাদের মিলিয়ে নিয়ে এরা আগাগোড়া তৈরি, তারা সকল সময়েই ভিতরে ভিতরে র্কাপছে । ঠাণ্ড যখন থাকে তখনও কাপছে, আর র্কাপুনি যখন আরো চড়ে ওঠে তখন গরম হয়ে বাইরে থেকেই ধরা পড়ে আমাদের বোধশক্তিতে । আগুনে পোড়ালে লোহার পরমাণু কাপতে কাপতে এত বেশি অস্থির হয়ে ওঠে যে তার উত্তেজনা আর লুকানো থাকে না। তখন র্কাপনের ঢেউ আমাদের শরীরের স্পশনাড়ীকে ঘা মেরে তার মধ্য দিয়ে যে খবরটা চালিয়ে দেয় তাকে বলি গরম । বস্তুত গরমটা আমাদের মারে । আলো মারে চোখে, গরম মারে গায়ে । ছেলেবেলায় যখন একদিন মাস্টার মশায় দেখিয়ে দিলেন লোহার টুকরো আগুনে তাতিয়ে প্রথমে হয় গরম, তার পরে . হয় লাল টকটকে, তার পরে হয় সাদা জ্বলজ্বলে, বেশ মনে আছে তখন আমাকে এই কথা নিয়ে ভাবিয়েছিল যে, আগুন তো কোনো একটা দ্রব্য নয় যেটা লোহার সঙ্গে বাইরে থেকে মিশিয়ে লোহাকে দিয়ে এমনতরো চেহারা বদল করাতে পারে । তার পরে আজ শুনছি অারে। তাপ দিলে এই