পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> २ বিশ্ব-পরিচয় மு কাছে ধরে দেখলেন । লাল পেরিয়ে নলটিকে নিয়ে গেলেন বেরঙা অন্ধকারে, সেখানেও গরম থামতে চায় না । বোঝh গেল আরো আলো আছে ঐ অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে । তারপর এলেন এক জমান রসায়নী । একটা ফোটগ্রাফির প্লেট নিয়ে পরীক্ষায় লাগলেন । এই প্লেটে লাল থেকে বেগনি পর্যন্ত সাতটা রঙের সাড়া পাওয়া গেল । শেষে বেগনি পেরিয়ে চললেন অন্ধকারে, সেখানে চোখে যা ধরা দেয় না প্লেটে তা ধরা পড়ল। দেখা গেল আলোর উত্তাপটা লাল রঙের দিকে আর রাসায়নি ক্রিয়া বেথুনি পারের দিকে। এককালে মনে হয়েছিল অ-দেখার রঙিন দলেরই পাশ্বচর, অন্ধকারে পড়ে গেছে । যত এগোতে লাগল গুপ্ত আলোর সন্ধান, ততই সাতরঙা দলেরই আসন হোলো খাটো । বিজ্ঞানের জরীপে, আলোর সীমানা আজ সাতরং-রাজার দেশ ছাড়িয়ে গেছে শতগুণ । লাল-উজানি আলোর দিকে ক্রমে আজ দেখা দিল যে ঢেউ সেই ঢেউ বেয়ে চলে আকাশবাণী, যাকে বলে রেডিয়ো বাত7, বেগনি-পারের দিকে প্রকাশ পেল বিখ্যাত। র্যণ্টগেন আলো, যে আলোর সাহায্যে দেহের চামড়ার ঢাকা পেরিয়ে ভিতরকার হাড় দেখতে পাওয়া যায় । আলো জিনিসটাতে কেবল যে নক্ষত্রের অস্তিত্বের খবর দেয় তা নয়, ওদের মধ্যে কোন কোন পদার্থ মিলিয়ে আছে, মানুষ সে খবরও আলোর যেন বুক চিরে আদায় করে নিয়েছে । কেমন করে আদায় হোলো, বুঝিয়ে বলা যাক ।