পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>br বিশ্ব-পরিচয় সম্পূর্ণ নতুন স্বভাব উৎপন্ন হয়। যৌগিক পদার্থ মাত্রেরই এই দশা । তারা আপনার মধ্যে আপন আদি-পদার্থের পরিচয় গোপন করে । যাহোক এই সব অ্যাটম পদবিওয়ালারাই একদিন খ্যাতি পেয়েছিল জগতের মূল উপাদান ব’লে ; সবাই বলেছিল, এদের ধাতে আর একটুকুও ভাগ সয় না । কিন্তু শেষকালে তারো ভাগ বেরল । যাকে পরমাণু বলা হয়েছে তাকেও ভাঙতে ভাঙতে ভিতরে পাওয়া গেল অতিপরমাণু, সে এক অপরূপ জিনিস, তাকে জিনিস বলতেও মুখে বাধে । বুঝিয়ে বল। যাক । আজকাল ইলেকটি সিটি শব্দটা খুব চলতি—ইলেক্‌টিক বাতি, ইলেক্‌টিক মশাল, ইলেক্‌টিক পাখা এমন আরো কত কী। সকলেরই জানা আছে ওটা একরকমের তেজ ! এও সবাই জানে মেঘের মধ্যে থেকে আকাশে যা চমক দেয় সেই বিদ্যুৎও ইলেকটি সিটি ছাড়া আর কিছু নয়। এই বিদ্যুৎই পৃথিবীতে আমাদের কাছে সব চেয়ে প্রবল প্রতাপে ইলেক্টসিটিকে, আলোয় এবং গজনে ঘোষণা করে। গায়ে লাগলে সাংঘাতিক হয়ে ওঠে। ইলেকটি সিটি শব্দটাকে আমর! বাংলায় বলব বৈদ্যুত । এই বৈদ্যুত আছে তুই জাতের । বিজ্ঞানীরা এক জাতের নাম দিয়েছেন পজেটিভ, আর এক জাতের নাম নেগেটিভ । তজমা করলে দাড়ায় হঁ।-ধর্মী অার না-ধৰ্মী। এদের মেজাজ পরস্পরের উলটো, এই বিপরীতকে মিলিয়ে দিয়ে হয়েছে সমস্ত