পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о বিশ্ব-পরিচয় মতো মস্ত একটা স্টেশন থেকে অন্ত সব কিছু জিনিস সরিয়ে দিয়ে কেবল গোটা পাচ ছয় বোলতা ছেড়ে দিলে তবে তারই সঙ্গে তুলনা হোতে পারে পরমাণুর আকাশস্থিত অতিপরমাণুদের। কিন্তু এই ব্যাপক শূন্যের মধ্যে দূরবর্তী কয়েকটি চঞ্চল পদার্থকে আটকে রাখবার জন্যে পরমাণুর কেন্দ্রবস্তুর প্রায় সমস্ত ভার সমস্ত শক্তি কাজ করছে । এ না হোলে পরমাণু-জগৎ ছারখার হয়ে যেত, আর পরমাণু দিয়ে গড়। বিশ্বজগতের অস্তিত্ব থাকত না । পরমাণুগুলি পরস্পর কাছাকাছি আছে একটা টানের শক্তিতে। তবু সোনার মতো নিরেট জিনিসের পরমাণুরও মাঝে মাঝে ফাক আছে । সংখ্যা দিয়ে সেই অতি সূক্ষ্মফাকের পরিমাণ জানাতে চাইনে, তাতে মন পীড়িত হবে । প্রশ্ন ওঠে একটুও ফাক থাকে কেন, পরমাণুওয়ালা গ্যাস থাকে কেন, কেন থাকে তরল পদার্থ । এর একই জাতের প্রশ্ন হচ্ছে পুথিবী কেন সূর্যের গায়ে গিয়ে এটে যায় না । সমস্ত বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড একটা পিণ্ডে তাল পাকিয়ে যায় না কেন । এর উত্তর এই পৃথিবী সূর্যের টান মেনেও দৌড়ের বেগে তফাৎ থাকতে পারে। দৌড় যদি যথেষ্ট পরিমাণ বেশি হোত তাহলে টানের বাধন ছিড়ে শূন্তে বেরিয়ে পড়ত, দৌড়ের বেগ যদি ক্লান্ত হোত তাহলে সূর্য তাকে দিত আত্মসাৎ ক’রে । পরমাণুদের মধ্যে ফাক থেকে যায় গতির বেগে, তাতেই বাধনের শক্তিকে ঠেলে রেখে দেয়। গ্যাসীয় পদার্থের গতির প্রাধান্ত বেশি। পরমাণুর এই অবস্থায় এত দ্রুতবেগে চলে