পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক २S যে তাদের পরস্পরের মিল ঘটবার অবকাশ থাকে না। মাঝে মাঝে তাদের ঠেকাঠেকি হয় কিন্তু মুহূর্তেই আবার যায় সরে । তরল পদার্থে তারা পরস্পরের গায়ে গায়ে লেগে থাকে । কিন্তু চলন বেগের জন্যে তাদের মধ্যে অতিঘনিষ্ঠতার সুযোগ হয় না। নিরেট বস্তুতে বাধনের শক্তিটা অপেক্ষাকৃত প্রবল । তাতে অণু পরমাণুর স্বস্ব স্থানে আটকা পড়ে থাকে । তাই ব’লে তারা যে শাস্ত থাকে তা নয় তাদের মধ্যে কম্পন চলছেই। পরমাণুদের মধ্যে এই চলন র্কাপন, এই হচ্ছে তাপ । অস্থিরতা যত বাড়ে গরম ততই স্পষ্ট হয়ে ওঠে । এদের একেবারে শাস্ত করা সম্ভব হোত যদি এদের তাপ তাপমানের শূন্ত অঙ্কের নিচে আরো ২৭৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হোত । এইবার হাইড্রোজেন গ্যাসের পরমাণু মহলে দৃষ্টি দেওয়া যাক । এর চেয়ে হালকা গ্যাস আর নেই। এর পরমাণুর কেন্দ্রে বিরাজ করছে একটিমাত্র বৈদ্যুতকণা যাকে বলে প্রোটন, আর তার টানে বাধা পড়ে চারিদিকে ঘুরছে অন্য একটিমাত্র .কণিকা যার নাম ইলেকট্রন । প্রোটন কণায় যে বৈদ্যুতের প্রভাব সে পজেটিভধর্মী, আর ইলেকট নকণা যে বৈদ্যুতের বাহন সে নেগেটিভধর্মী। নেগেটিভ ইলেকট্রন চটুল চঞ্চল, পজেটিভ প্রোটন রাশভারি । ইলেকট্রনের ওজনটা গণ্যের মধ্যেই নয়, পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভার তার কেন্দ্রবস্তুতে হয়েছে জমা ।