পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨ বিশ্ব-পরিচয় মোটের উপরে সব ইলেকট্রনই না-ধৰ্মী বটে কিন্তু এমন একজাতের ইলেক্ট্রন ধরা পড়েছে যারা হা-ধৰ্মী, অথচ ওজনে ইলেক্ট্রনেরই সমান। এদের নাম দেওয়া হয়েছে পজিট্রন । কখনো কখনো দেখা গেছে বিশেষ হাইড্রোজেনের পরমাণু সাধারণের চেয়ে ডবল ভারি । পরীক্ষায় বেরিয়ে পড়ল কেন্দ্রস্থলে প্রোটনের সঙ্গে আছে তার এক সহযোগী। পূর্বেই বলেছি প্রোটন হা-ধৰ্মী । তার কেন্দ্রের শরিকটিকে পরখ ক’রে দেখা গেল সে সাম্যধৰ্মী, হা-ধৰ্মীও নয়, না-ধৰ্মীও নয় । অতএব সে বৈদ্যুতধম-বর্জিত । সে আপন প্রোটন শরিকের সমান ওজনের, কিন্তু প্রোটন যেমন ক’রে ইলেকট্রনকে টানে এ তেমন টানতে পারে না, আবার প্রোটনকে ঠেলে ফেলবার চেষ্টাও তার নেই। এই কণার নাম দেওয়া হয়েছে নু্যট্রন । এটি লক্ষ্য ক’রে দেখা গিয়েছে অন্য জাতের বাটখারা দিয়ে পরমাণু যতই ভারি করা যাক ইলেকট্রনের উপরে সেই সাম্যধর্মীদের কোনো জোর খাটে না—একটি প্রোটন কেবল একটিমাত্র ইলেকট্রনকে শাসনে রাখে। পরমাণু-কেন্দ্রে প্রোটনের সংখ্যা যে পরিমাণ বেশি হয় সেই পরিমাণ ইলেকট্রনকে তার বশে রাখে । অক্সিজেন গ্যাসের পরমাণু কেন্দ্রে আছে আটটি প্রোটন, সঙ্গে থাকে আটটি নু্যট্রন, তার প্রদক্ষিণকারী ইলেকট্রনের সংখ্যা থাকে ঠিক আটটি । 瞿 পজেটিভে নেগেটিভে যথাপরিমাণ মিলে যেখানে সন্ধি করে আছে সেখানে যদি কোনো উপায়ে গৃহবিচ্ছেদ