পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক ২৩ ঘটানো যায়, গুটিকতক নেগেটিভকে দেওয়া যায় তফাৎ ক’রে, তাহলে সেই জিনিসে বৈদ্যুতের পরিমাণের হিসাবে হবে গরমিল, অতিরিক্ত হয়ে পড়বে পজেটিভ বৈদ্যুতের চার্জ । মেয়ে পুরুষে মিলে যেখানে গৃহস্থালীর সামঞ্জস্য সেখানে মেয়ের প্রভাবকে যে-পরিমাণে সরিয়ে দেওয়া যাবে, সেসংসারটা সেই পরিমাণে হয়ে পড়বে পুরুষ-প্রধান ; এও তেমনি । এই চার্জ কথাটা ইলেকটি সিটির প্রসঙ্গে সর্বদাই ব্যবহারে লাগে । সাধারণত যে-সব জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া করি তাদের মধ্যে বৈদ্যুতের কোনো ছটফটানি দেখা যায় না, তার চার্জ করা নয়, অর্থাৎ তুই জাতের যে-পরিমাণ বৈদ্যুতে মিলে মিশে থাকলে শান্তি রক্ষা হয় তা তাদের মধ্যে আছে । কিন্তু কোনো জিনিসে কোনো একটা জাতের বৈষ্কৃত যদি সন্ধি না মেনে আপন নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাপিয়ে বাড়াবাড়ি করে তাহলে সেই বৈদ্যুতের দ্বারা জিনিসটা চার্জ করা হয়েছে বলা হয় । এক টুকরো রেশম নিয়ে র্কাচের গায়ে ঘষা গেল। ফল হোলো এই যে ঘষড়ানিতে কঁাচের থেকে কিছু ইলেকট্রন এল বেরিয়ে, সেটা চালান হোলো রেশমে। র্কাচে নেগেটিভ কমতেই পজেটিভ বৈদ্যুতের প্রাধান্ত হোলো, ওদিকে রেশমে নেগেটিভ বৈদ্যুতের প্রভাব বাড়ল, সেটা হোলো নেগেটিভ বৈদ্যুতের দ্বারা চার্জ করা । ইলেকট্রন খোয়ানো কঁাচ তার পজেটিভ চার্জের ঝোকে টেনে নিতে চাইল রেশমটাকে,