পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক ২৫ বিভীষিকা নিয়ে অদৃশ্য ডুগডুগির ছন্দে চলছে স্থষ্টির নাচ ও খেলা । স্মৃষ্টির আখড়ায় তুই খেলোয়াড় তাদের ভীষণ দ্বন্দ্ব মিলিয়ে বিশ্বচরাচরের রঙ্গভূমি সরগরম করে রেখেছে। কোনো কোনো বিজ্ঞানী পরমাণুরহস্যকে সৌরমণ্ডলীর সঙ্গে তুলনীয় করে বললেন, পরমাণুর কেন্দ্র ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন চক্রপথে ঘুর খাচ্ছে ইলেকট্রনের দল। আরেক পণ্ডিত প্রমাণ করলেন যে, ঘূর্ণিপাক খাওয়া ইলেকট্রনরা তাদের এক কক্ষপথ থেকে আর-এক কক্ষপথে ঠাই বদল করে,আবার ফেরে আপন নিদিষ্ট পথে । পরমাণুলোকের যে ছবি সৌরলোকের ছাদে, তাতে আছে পজেটিভ বৈদ্যু্যতওয়ালা একটা কেন্দ্রবস্তু, আর তার চারদিকে ইলেকট্রনদের প্রদক্ষিণ । এ মত মেনে নেবার বাধা আছে । ইলেকট্রন যদি একটানা পথে চলত তাহলে ক্রমে তার শক্তি ক্ষয় হয়ে ক্রমে পথ খাটো ক’রে সে পড়ত গিয়ে কেন্দ্রবস্তুর উপরে। পরমাণুর সর্বনাশ ঘটাত । এখন এই মত দাড়িয়েছে, ইলেকট্রনের ডিম্বাকার চলবার পৃথ একটি নয়, একাধিক । কেন্দ্র থেকে এই কক্ষগুলির দূরত্ব নির্দিষ্ট । কেন্দ্রের সব চেয়ে কাছের যে-পথ, কোনো ইলেকট্রন তা পেরিয়ে যেতে পারে না । ইলেকট্রন বাইরের পথ থেকে ভিতরের পথে দর্শন দেয় । কেন দেয় এবং হঠাৎ কখন" দেখা দেবে তার কোনো বাধা নিয়ম পাওয়া যায় না। ইলেকট্রন তেজ বিকীর্ণ করে কেবল যখন সে তার বাইরের পথ থেকে