পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პა) বিশ্ব-পরিচয় ভিতরের পথে আবিভূত হয়। যতক্ষণ একই কক্ষে চলতে থাকে ততক্ষণ তার শক্তি-বিকিরণ বন্ধ । এ মতটা ধরে-নেওয়া একটা মত, কোনো কারণ দেখানো যায় না । মতটা মেনে নিলে তবেই বোঝা যায় পরমাণু কেন টিকে আছে, বিশ্ব কেন বিলুপ্ত হয়ে যায়নি । এ সব কথার পিছনে তুরূহ তত্ত্ব আছে, সেটা বোঝবার অনেক দেরি। আপাতত কথাটা শুনে রাখা মাত্র । পূর্বেই বলেছি বিজ্ঞানীরা খুব দৃঢ়স্বরে ঘোষণা করেছিলেন যে, ৯২টি আদিভূত বিশ্বস্বষ্টির মৌলিক পদার্থ। অতিপরমাণুদের সাক্ষ্যে আজ সে-কথা অপ্রমাণ হয়ে গেল। তবু এখনো রয়ে গেল এদের সম্মানের উপাধিটা । একদা মৌলিক পদার্থের খ্যাতি ছিল যে তাদের গুণের নিত্যতা আছে। তাদের যতই ভাঙা যাক কিছুতেই তাদের স্বভাবের বদল হয় না । বিজ্ঞানের নতুন অধ্যায়ে দেখা গেল তাদের চরম ভাগ করলে বেরিয়ে পড়ে তুই জাতীয় বৈদ্যুতওয়ালা কণাবস্তুর জুড়িমৃত্য । যারা মৌলিক পদার্থ নামধারী তাদের স্বভাবের বিশেষত্ব রক্ষা করেছে এই সব বৈদ্যুতের। বিশেষ সংখ্যায় একত্র হয়ে ! এইখানেই যদি থামত তাহলেও পরমাণুদের রূপনিত্যতার খ্যাতি টিকে যেত। কিন্তু ওদের নিজের দলের থেকেই বিরুদ্ধ সাক্ষ্য পাওয়া গেল । একটা খবর পাওয়া গেল,যে, হালক। যে-সব পরমাণু তাদের মধ্যে ইলেকট্রন