পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミbr বিশ্ব-পরিচয় বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন । তারা স্বামী স্ত্রীতে মিলে এই পিচব্লেণ্ড নিয়ে পরখ করতে লাগলেন, দেখলেন এর তেজস্ক্রিয় প্রভাব য়ুরেনিয়মের চেয়ে আরো প্রবল। পিচব্লেণ্ডের মধ্যে এমন কোনো কোনো পদার্থ আছে যারা এই শক্তির মূলে, তারি আবিষ্কারের চেষ্টায় তিনটি নতুন পদার্থ বের হোলো, রেডিয়ম, পোলোনিয়ম, এবং য়্যাক্টিনিয়ম । পরীক্ষা করতে করতে প্রায় চল্লিশটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া গেছে । প্রায় এদের সবগুলিই বিজ্ঞানে নতুন জান । তখনকার দিনে সকলের চেয়ে চমক লাগিয়ে দিল এই ধাতুর একটি অদ্ভূত স্বভাব । সে নিজের মধ্যে থেকে জ্যোতিষ্কণা বিকীর্ণ করে নিজেকে নানা মৌলিক পদার্থে রূপান্তরিত করতে করতে অবশেষে সীসে করে তোলে । এ যেন একটা বৈজ্ঞানিক ভেলকি বললেই হয় । এক ধাতু থেকে অন্য ধাতুর যে উদ্ভব হোতে পারে, সে এই প্রথম জানা গেল । .. যে সকল পদার্থ রেডিয়মের এক জাতের, অর্থাৎ তেজ ছিটোনোই যাদের স্বভাব তারা সকলেই জাতখোওয়াবার দলে । তারা কেবলি আপনার তেজের মূলধন খরচ করতে থাকে। এই অপব্যয়ের ফদে প্রথম যে তেজঃ পদার্থ পড়ে, গ্রীকবর্ণমালার প্রথম অক্ষরের নামে তার নাম দেওয়া হয়েছে আলফা । বাংলা বর্ণমালা ধরে তাকে ক বললে চলে। এ একটা পরমাণু, পজেটিভ জাতের । রেডিয়মের আরো একট।