পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক HI মধ্যেকার ঘরোয় বিবাদ মিটিয়েছে যে শাসন, সেই শাসনেই বিশ্বে বিরাজ করে শান্তি । আধুনিক ইতিহাস থেকে এর উপমা সংগ্রহ ক’রে দেওয়া যাক । চীন রিপাব্লিকের শান্তি নষ্ট ক’রে কতকগুলি একাধিপত্যলোলুপ জাদরেল পরস্পর লড়াই ক’রে দেশটাকে ছারখার করে দিচ্ছিল । রাষ্ট্রের কেন্দ্রস্থলে এই বিরুদ্ধদলের চেয়ে প্রবলতর শক্তি যদি থাকত তাহলে শাসনের কাজে এদের সকলকে এক ক’রে রাষ্ট্রশক্তিকে বলিষ্ঠ ও নিরাপদ ক’রে রাখা সহজ হোত। পরমাণুর রাষ্ট্ৰতন্ত্রে সেই বড়ো শক্তি আছে সকল শক্তির উপরে, তাই যারা স্বভাবত মেলে না তারাও মিলে’ বিশ্বের শান্তি রক্ষা হচ্ছে । এর থেকে দেখতে পাচ্ছি বিশ্বের শান্তি পদার্থটি ভালোমানুষি শান্তি নয়। যত সব তুরন্তদের মিলিয়ে নিয়ে তবে একটা প্রবল মিল হয়েছে । যারা স্বতন্ত্রভাবে সর্বনেশে তারাই মিলিতভাবে সৃষ্টির বাহন । i পরমাণুর ইতিহাসে রেডিয়মের অধ্যায়ের মূল্য বেশি— সেইজন্তে একটু বিশদ করে তার কথাটা বলে নিই – রেডিয়মের পরমাণুগুলি ভারে এবং আয়তনে বড়ো । যে বস্তুতে তা’র একত্র হয়ে থাকে সে বস্তুট। লোহা প্রভৃতির মতোই ধাতুদ্রব্য । অবশেষে একদিন কী কারণে কেউ জানে না রেডিয়মের পরমাণু যায় ফেটে তার অল্প একটু অংশ যায় ছুটে ; এই ভাঙন-ধরা পরমাণু থেকে নিঃস্থত আলফারশ্মিতে যে-কণিকাগুলি প্রবাহিত হয় তা’র প্রত্যেকে দুটি প্রোটন