পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক এই তো দেখা গেল বিশ্বব্যাপী অরূপ বৈদ্যুতলোক । এদের সম্মিলনের দ্বারা প্রকাশবান রূপলোক গ্রহনক্ষত্রে । গোড়াতেই ব’লে রাখি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আসল চেহারা কী জানবার জো নেই । বিশ্বপদার্থের নিতান্ত অল্পই আমাদের চোখে পড়ে। তা ছাড়া আমাদের চোখ কান স্পশেন্দ্রিয়ের নিজের বিশেষত্ব আছে । তাই বিশ্বের পদার্থগুলি বিশেষভাবে বিশেষরূপে আমাদের কাছে দেখা দেয় । ঢেউ লাগে চোখে, দেখি আলো । আরো সূক্ষ্ম বা আরো স্থল ঢেউ সম্বন্ধে আমরা কানা । দেখাটা নিতান্ত অল্প, না-দেখাটাই অত্যন্ত বেশি। পৃথিবীর কাজ চালাব ব’লেই সেই অনুযায়ী অামাদের চোখ কান ; আমরা যে বিজ্ঞানী হব প্রকৃতি সে খেয়ালই করেনি। মানুষের চোখ অণুবীক্ষণ ও দূরবীন এই দুইএর কাজই সামান্ত পরিমাণে করে থাকে। প্রকৃতি যদি অামাদের চোখে এখনকার চোখের চেয়ে বহুগুণ জোরের অণুবীক্ষণ লাগাত তাহলে পৃথিবীর সব জিনিসে আমরা . দেখতুম অণুপরমাণুর ঘূর্ণি নাচ । বোধের সীমা বাড়লে বা বোধের প্রকৃতি অন্ত রকম হোলে আমাদের জগৎটাও হোত অদ্য রকম | বিজ্ঞানীর কাছে সেই অন্য রকমই তো হয়েছে। এতই অন্ত্য রকমের, যে, যে-ভাষায় আমরা কাজ চালাই এ জগতের