পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર বিশ্ব-পরিচয় ইলেকট্রনদের গতিপথের দূরত্ব সম্বন্ধে স্তর জেমস্ জীনস্ যে উপমা দিয়েছেন এই নক্ষত্রমণ্ডলীর সম্বন্ধেও অনুরূপ উপমাই তিনি প্রয়োগ করেছেন। তিনি বলেছেন, লণ্ডনে ওয়াটলু। নামে এক মস্ত স্টেশন আছে। যতদূর মনে পড়ে সেটা হাওড়া স্টেশনের চেয়ে বড়োই । স্তর জেমস জীনস্ বলেন সেই স্টেশন থেকে আর সব খালি করে ফেলে কেবল ছ’টি মাত্র ধুলোর কণা যদি ছড়িয়ে দেওয়া যায় তবে আকাশে নক্ষত্রদের পরস্পর দূরত্ব এই ধূলিকণাদের বিচ্ছেদের সঙ্গে কিছু পরিমাণে তুলনীয় হোতে পারবে । তিনি বলেন, নক্ষত্রের সংখ্যা ও আয়তন যতই হোক অাকাশের অচিন্তনীয় শূন্যতার সঙ্গে তার তুলনাই হোতে পারে না । বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, সৃষ্টিতে রূপবৈচিত্র্যের পাল৷ আরম্ভ হবার অনেক আগে কেবল ছিল একটা পরিব্যাপ্ত জ্বলন্ত বাম্প । গরম জিনিস মাত্রেরই ধম এই যে ক্রমে ক্রমে সে তাপ ছড়াতে থাকে। ফুটন্ত জল প্রথমে বাষ্প হয়ে বেরিয়ে আসে । ঠাণ্ডা হোতে হোতে সেই বাম্পের ভিতর কণ কণা জল জমে। অত্যন্ত তাপ দিলে কঠিন পদার্থও ক্রমে যায় গ্যাস হয়ে s সেই রকম তাপের অবস্থায় বিশ্বের হালকা ভারি সব জিনিসই ছিল গ্যাস । কোটি কোটি বছর ধরে কালে কালে তা ঠাণ্ড হচ্ছে । তাপ কমতে কমতে গ্যাস থেকে ছোটো ছোটো টুকরো ঘন হয়ে ভেঙে পড়েছে । এই বিপুলসংখ্যক কণা তারার আকারে জোট বেঁধে নীহারিক গড়ে তুলছে । যুরোপীয় ভাষায় এদের বলে নেবুলা, বহুবচনে নেবুলে ।