পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বিশ্ব-পরিচয় দূরত্ব গোনা কড়ি দিয়ে হাজার হাজার মোহর গোনার মতো । সংখ্যা-সংকেত বানিয়ে মানুষ লেখনের বোঝা হালক। করেছে, হাজার লিখতে তাকে হাজারটা দাড়ি কাটতে হয় না । কিন্তু জ্যোতিষ্ক লোকের মাপ এ সংকেতে কুলোল না । তাই আর এক সংকেত বেরিয়েছে । তাকে বলা যায় আলোচলার মাপ | ৩৬৬দিনের বছর হিসাবে সে চলে পাচ লক্ষ আটাশি হাজার কোটি মাইল । সূর্য প্রদক্ষিণের যেমন সৌর বছর তিনশো পয়ষট্টি দিনের পরিমাপে, তেমনি নক্ষত্রদের গতিবিধি, তাদের সীমা সরহদের মাপ, আলো-চলা বছরের মাত্রা গণনা ক’রে । আমাদের নাক্ষত্র জগতের ব্যাস অণন্দাজ একলক্ষ অালো-বছরের মাপে । আরো অনেক লক্ষ নাক্ষত্রজগৎ আছে এর বাইরে । সেই সব ভিন্ন গায়ের নক্ষত্রদের মধ্যে একটির পরিচয় ফোটোগ্রাফে ধরা হয়েছে, হিসেব মতে সে প্রায় পঞ্চাশলক্ষ আলো-বছর দূরে । আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী নক্ষত্রের দূরত্ব পচিশ লক্ষ কোটি মাইল । এর থেকে বোঝা যাবে কী বিপুল শূন্যতার মধ্যে বিশ্ব ভাসছে। আজকাল শুনতে পাই পুথিবীতে স্থানাভাব নিয়েই লড়াই বাধে । নক্ষত্রদের মাঝখানে কিছুমাত্র যদি জায়গার টানাটানি - থাকত তাহলে সর্বনেশে ঠোকাঠুকিতে বিশ্ব যেত চুরমার হয়ে । চোখে দেখার যুগ থেকে এল দূরবীনের যুগ। দূরবীনের জোর বাড়তে বাড়তে বেড়ে চলল তুলোকে আমাদের দৃষ্টির পরিধি । পুর্বে যেখানে ফাক দেখেছি সেখানে দেখা দিল