পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক 8 & নক্ষত্রের বাক । তবু বাকি রইল অনেক । বাকি থাকবারই কথা । আমাদের নাক্ষত্ৰজগতের বাইরে এমন সব জগৎ আছে যাদের আলো দূরবীন দৃষ্টিরও অতীত। একটা বাতির শিখা খালি চোখে ৮৫৭৫ মাইল দূরে যেটুকু দীপ্তি দেয় এমনতরো আভাকে দূরবীন যোগে ধরবার চেষ্টায় হার মানলে মানুষের চক্ষু। দূরবীন আপন শক্তি অনুসারে খবর এনে দেয় চোখে, চোখের যদি শক্তি না থাকে সেই অতি ক্ষীণ খবরটুকু বোধের কোঠায় চালান ক’রে দিতে, তাহলে আর উপায় থাকে ন । কিন্তু ফোটোগ্রাফ ফলকের অালো-ধরা শক্তি চোখের শক্তির চেয়ে বেশি । সেই শক্তির উদ্বোধন করলে বিজ্ঞান, দূরতম আকাশে জাল ফেলবার কাজে লাগিয়ে দিলে ফোটোগ্রাফ। এমন ফোটোগ্রাফি বানালে যা অন্ধকারেমুখঢাক আলোর উপর সমন জারি করতে পারে। দূরবীনের সঙ্গে ফোটোগ্রাফি, ফোটোগ্রাফির সঙ্গে বর্ণলিপিযন্ত্র জুড়ে দিলে। সম্প্রতি এর শক্তি আরো বিচিত্ৰ ক’রে তুলে দেওয়া হয়েছে । সূর্যে নানা পদার্থ গ্যাস হয়ে জলছে । তা’রা সকলে একসঙ্গে মিলে যখন দেখা দেয় তখন ওদের তন্ন তন্ন করে দেখা সম্ভব হয় না । সেইজন্তে এক আমেরিকান বিজ্ঞানী সূর্য-দেখা দূরবীন বানিয়েছেন যাতে জলন্ত গ্যাসের সব রকম রং থেকে এক একটি রঙের আলো ছাড়িয়ে নিয়ে তার সাহায্যে সূর্যের সেই বিশেষ গ্যাসীয় রূপ দেখা সম্ভব হয়েছে। ইচ্ছামতো কেবলমাত্র জলন্ত ক্যালসিয়মের রং কিংবা জ্বলন্ত হাইড্রোজেনের রঙে সূর্যকে দেখতে পেলে তার গ্যাসীয়