পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b- বিশ্ব-পরিচয় তার চেয়ে কম দৈর্ঘ্যের ধারণা জন্মায়, দূরে গেলে তার চেয়ে বেশি । যে সব আলোর ঢেউ দৈর্ঘ্যে কম, তাদের রং ফোটে বর্ণসপ্তকের বেগনির দিকে, আর যারা দৈর্ঘ্যে বেশি তারা পৌছয় লাল রঙের কিনারায় । এই কারণে নক্ষত্রের কাছেআসা দূরে-যাওয়ার সংকেত ভিন্ন রঙের সিগন্যালে জানিয়ে দেয় বর্ণলিপি। দূরে সরার খবর দেয় লাল রং, কাছে আসার খবর দেয় বেগনি । শিঙে বাজিয়ে রেলগাড়ি পাশ দিয়ে চলে যাবার সময় কানে তার আওয়াজ পূর্বের চেয়ে চড়া ঠেকে। কেননা শৃঙ্গ ধ্বনি বাতাসে যে ঢেউ তোলা আওয়াজ আমাদের কানে বাজায়, গাড়ি কাছে এলে সেই ঢেউগুলো পুঞ্জীভূত হয়ে কানে চড়া সুরের অনুভূতি জাগায়। আলোতে চড়া রঙের সপ্তক বেগনিতে । নীহারিকার যে উজ্জ্বলতা সে তার অাপন আলোতে নয় । যে নক্ষত্রগুলি তাদের মধ্যে ভিড় করে অাছে তারাই ওদের আলোকিত করেছে । চাদকে সূর্য যেমন ক’রে আলোকিত করে তেমন ক’রে নয়। অর্থাৎ নক্ষত্রের অালো নীহারিক। থেকে ঠিকরে পড়ছে না । নীহারিকার পরমাণুগুলি নক্ষত্রের আলোককে নিজেরা শুষে নিয়ে ভিন্ন দৈর্ঘ্যের আলোতে তাকে চালান করে । নীহারিকার অার একটি বিশেষত্ব দেখতে পাওয়া যায় । তার মাঝে মাঝে মেঘের মতো কালো কালো লেপ দেওয়া আছে, নিবিড়তম তারার ভিড়ের মধ্যে এক এক জায়গায় কালে৷ ফাক । জ্যোতিষী বানার্ডের পর্যবেক্ষণে এমনতরে।