পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক ○ ○ পার হয়ে নিরস্তর চলেছে অশরীরী টানের শক্তি, অদৃশ্য লাগামে বেঁধে গ্রহগুলোকে ঘোরাচ্ছে সার্কাসের ঘোড়ার মতো। এদিকে সূর্যও ঘুরছে বহুকোটি ঘূর্ণ্যমান নক্ষত্রেতৈরি এক মহা জ্যোতিশচক্রের টানে । বিশ্বের অণীয়সী গতিশক্তির দিকে তাকাও সেখানেও বিরাট চলা-টানার একই ছন্দের লীলা । সূর্য আর গ্রহের মাঝখানের যে দূরত্ব, তুলনা করলে দেখা যাবে অতিপরমাণু জগতে প্রোটন ইলেক্ট্রনের মধ্যেকার দূরত্ব কম বেশি সেই পরিমাণে । টানের জোর সেই শূন্তকে পেরিয়ে নিত্য কাল বাধা পথে ঘোরাচ্ছে ইলেক্ট্রনের দলকে । গতি আর সংযমের অসীম সামঞ্জস্য নিয়ে সব কিছু । এইখানে ব’লে রাখা দরকার, ইলেক্ট্রন প্রোটনের টানাটানি মহাকর্ষের নয়, সেট বৈদ্যুত টানের। পরমাণুদের অন্তরের টানটা বৈদ্যুতের টান, বাহিরের টানটা মহাকর্ষের, যেমন মানুষের ঘরের টানটা আত্মীয়তার, বাইরের টানটা সমাজের । মহাকর্ষ সম্বন্ধে এই যে মতের আলোচনা করা গেল নু্যটনের সময় থেকে এটা চলে আসছে। এর থেকে আমাদের মনে এই একটা ধারণা জন্মে গেছে যে তুই বস্তুর মাঝখানের অবকাশের ভিতর দিয়ে একটা অদৃশ্য শক্তি টানাটানি করছে। কিন্তু এই ছবিটা মনে আনবার কিছু বাধা আছে। মহাকর্ষের ক্রিয়া একটুও সময় নেয় না। আকাশ পেরিয়ে আলো আসতে সময় লাগে সে কথা পূর্বে বলেছি। বৈদ্যুতিক শক্তিরাও ঢেউ খেলিয়ে আসে আকাশের ভিতর দিয়ে । কিন্তু