পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 বিশ্ব-পরিচয় অনেক পরীক্ষা করেও মহাকর্ষের বেলায় সে রকম সময় নিয়ে চলার প্রমাণ পাওয়া যায় না । তার প্রভাব তাৎক্ষণিক । আরো একটা আশ্চর্যের বিষয় এই যে, আলো বা উত্তাপ পথের বাধা মানে কিন্তু মহাকর্ষ তা মানে না। একটা জিনিসকে আকাশে ঝুলিয়ে রেখে পৃথিবী আর তার মাঝখানে যত বাধাই রাখা যাক না তার ওজন কমে না। ব্যবহারে অন্ত কোনো শক্তির সঙ্গে এর মিল পাওয়া যায় না । অবশেষে আইনস্টাইন দেখিয়ে দিলেন এটা একটা শক্তিই নয় । আমরা এমন একটা জগতে আছি যার আয়তনের স্বভাব অনুসারেই প্রত্যেক বস্তুই প্রত্যেকের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য। বস্তুমাত্র যে আকাশে থাকে তার একটা বাকানো গুণ অাছে মহাকর্ষে তারই প্রকাশ । এটা সর্বব্যাপী, এটা অপরিবত নীয়। এমন কি আলোককেও এই বাকা বিশ্বের ধারা মানতে হয় । তার নানা প্রমাণ পাওয়া গেছে । বোঝার পক্ষে টানের ছবি সহজ ছিল কিন্তু যে নূতন জ্যামিতির সাহায্যে এই বাকা আকাশের ঝোক হিসেব ক’রে জানা যায় সে কজন লোকেরই বা আয়ত্তে আছে । যাই হোক ইংরেজিতে যাকে গ্র্যাভিটেশন বলে তাকে মহাকর্ষ না ব’লে ভারাবতন নাম দিলে গোল চুকে যায় । আমাদের এই যে নাক্ষত্র জগৎ, এ যেন বিরাট শূন্য আকাশের দ্বীপের মতো । এখান থেকে দেখা যায় দূরে দূরে