পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক や> পোটলা-বাধা । সূর্যের ঘনত্ব এদের মাঝামাঝি, অর্থাৎ জলের চেয়ে কিছু বেশি । ক্যাপেল নক্ষত্রের গড়পড়তা ঘনত্ব আমাদের হাওয়ার সমান । কিন্তু সেখানে বায়ু-পরিবর্তন করবার কথা যদি চিন্তা করি তাহলে মনে রাখতে হবে পরিবতন হবে দারুণ বেশি । আবার একেও ছাড়িয়ে গেছে কালপুরুষমণ্ডলীভুক্ত লালরঙের দানব তারা বেটেলজিয়ুস এবং বৃশ্চিক রাশির য়্যাণ্টারেস । এদের ঘনত্বের এত অত্যন্ত কমতি, পৃথিবীর কোনো পদার্থের সঙ্গে তার সুদূর তুলনাও হোতে পারে না । বিজ্ঞান পরীক্ষাগারের খুব কষে পাম্প-করা পাত্রে যেটুকু গ্যাস বাকি থাকে তারি মতো । আবার অপর কিনারায় আছে সাদা রঙের বেঁটে তারাগুলো । তাদের ঘনত্বের কাছে লোহা প্ল্যাটিনম কিছুই ঘেষতে পারে না । অথচ এর জমাট কঠিন নয়, এরা গ্যাসদেহি সূর্যেরই সগোত্র। তাদের অন্দর মহলে জ্বলুনির যে প্রচণ্ড তাপ তাতে ইলেক্ট্রনগুলো প্রোটনের বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তা’রা খালাস পায় তাবেদারির দায়িত্ব থেকে,— উভয়ে উভয়ের মান বাচিয়ে চললে যে জায়গা জুড়ত সেটা যায় কমে, ক্রমাগতই উচ্ছঙ্খল ভাঙা পরমাণুর মধ্যে মাথা ঠোকাঠুকি চলতে থাকে। পরমাণুর সেই আয়তন-খর্বত অনুসারে নক্ষত্রের আয়তন হয়ে যায় ছোটো । এদিকে এই ভাঙাচোরার বে-আইনী শান্তিভঙ্গ থেকে উষ্মা বেড়ে ওঠে সহজ মাত্রা ছাড়িয়ে, ঘন গ্যাস ভারি হয়ে ওঠে প্ল্যাটিনমের