পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WとW。 বিশ্ব-পরিচয় দূরবীন ছাড়া কখনো দেখা যায়নি। এক সময় হঠাৎ দীপ্তিতে সে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রদের প্রায় সমতুল্য হয়ে উঠল। অাবার কয়েকমাস পরে অাস্তে অাস্তে তার প্রবল প্রতাপ এত ক্ষীণ হয়ে গেল যে, পূর্বের মতোই তাকে দূরবীন ছাড়া দেখাই গেল না। উজ্জল অবস্থায় অল্প সময়ের মধ্যে এই নক্ষত্রটি পুঞ্জপুঞ্জ যে জ্বলন্ত বাষ্প চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে সেইগুলিই আস্তে আস্তে ঠাণ্ড হয়ে জমাট বেঁধে গ্রহউপগ্রহের সৃষ্টি ঘটাতে পারে ব’লে অনুমান করা অসংগত নয়। এই মত স্বীকার করলে বলতে হবে যে কোটি কোটি নক্ষত্র এই অবস্থার ভিতর দিয়ে গিয়েছে, অতএব সৌরজগতের মতোই আপন আপন গ্রহদলে কোটি কোটি নাক্ষত্র-জগৎ এই বিশ্ব পূর্ণ করে আছে। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আছে যে নক্ষত্র তারও যদি গ্রহমণ্ডলী থাকে তবে তা দেখতে হোলে যত বড়ো দূরবীনের দরকার তা আজও তৈরি হয়নি। অল্প কিছুদিন হোলে৷ কেন্থিজের এক তরুণ পণ্ডিত লিটলটন সৌরজগৎ স্থষ্টি সম্বন্ধে একটি নূতন মত প্রচার করেছেন। পূর্বেই বলেছি আকাশে অনেক জোড়ানক্ষত্র পরস্পরকে প্রদক্ষিণ করছে। এর মতে আমাদের সূর্যেরও একটি জুড়ি ছিল । ঘুরতে ঘুরতে আর একটা ভবঘুরে জ্যোতিষ্ক এসে এই অনুচরের গায়ে পড়ে ধাক্কা মেরে তাকে অনেকদূরে ছিটকে ফেলে দিয়ে চলে গেল । চলে যেতে যেতে পরস্পর আকর্ষণের জোরে মস্ত বড়ো একটা জ্বলন্ত বাম্পের টানা সূত্র বের হয়ে এসেছিল ; তারই ভিতর মিশিয়ে গিয়ে