পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌরজগৎ ৩৯ দিতে পারে সেই পরিমাণ ওজনের জোরে । এই টানের জোরে সূর্য পৃথিবীকে আপন আয়ত্তে বেঁধে রাখে, কিন্তু দৌড়ের জোরে পৃথিবী আপন স্বাতন্ত্র্য রাখতে পেরেছে। গোল আলুর ঠিক মাঝখান দিয়ে উপর থেকে নিচে পর্যন্ত যদি একটা শলা চালিয়ে দেওয়া যায় আর সেই শলাটার চারদিকে যদি আলুটাকে ঘোরানো যায়, তাহলে সেই ঘোরা যেমন হয় সেই রকম হয় ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবীর একবার ক’রে ঘুর-খাওয়া । আমরা বলি, পৃথিবী আপন মেরুদণ্ডের চারদিকে ঘুরছে । আমাদের শলাফোড়া আলুটার সঙ্গে পৃথিবীর তফাৎ এই যে, তার এ রকম কোনো শলা নেই। মেরুদণ্ড কোনো দণ্ডই নয়। যে জায়গাটাতে শলা থাকতে পারত কাল্পনিক সোজা লাইনের সেই জায়গাটাকেই বলি মেরুদণ্ড । যেমন লাঠিম । সে ঘোরে, আপন মাঝখানের এমন একটা খাড়া লাইনের চারদিকে, যে লাইনটা মনে ক’রে নেওয়া । মেরুদণ্ডের চারদিকে পৃথিবীর এক পাক ঘুরতে লাগে চব্বিশ ঘণ্টা । সূর্যও আপন মেরুদণ্ডের চারদিকে ঘোরে। ঘুরতে কতক্ষণ লাগে তা যে উপায়ে জানা গেছে সে কথা বলি । খুব ভোরে যখন আলোতে চোখ ধাধায় না তখন সূর্যের দিকে তাকালে হয়তো দেখা যাবে সূর্যের গায়ে কালো কালো দাগ আছে। এক একটি কালো দাগ সময়ে সময়ে এত বড়ো হয়ে প্রকাশ পায় যে, সমস্ত গ্রহ উপগ্রহ একত্র করলেও তার সমান হয় না । ছোটো দাগগুলি মিলিয়ে