পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌরজগৎ QS এই চিহ্নগুলি কোনে। কোনো জায়গায় ঘেষাঘেষি কোনো কোনো জায়গায় ফাক ফাক। প্রত্যেক চক্ৰচিহ্ন থেকে বোঝা যায় গাছটা বৎসরে কতখানি ক’রে বেড়েছে । আমেরিকায় এরিজোনার মরুপ্রায় প্রদেশে ডাক্তার ডগলাস দেখেছেন যে, যে বছরে সূর্যের কালো দাগ বেশি দেখা দিয়েছে সেই বছরে গুড়ির দাগটা চওড়া হয়েছে বেশি। এরিজোনার পাইন গাছে পাচশো বছরের চিহ্ন গুনতে গুনতে ১৬৫০ থেকে ১৭২৫ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্যন্ত সূর্যের দাগের লক্ষণে একটা ফাক পড়ল। অবশেষে তিনি গ্রীনিচ মানযন্ত্র বিভাগে সংবাদ নিয়ে জানলেন ঐ ক’টা বছরে সূর্যের দাগ প্রায় ছিল না । বত মান সময়ে সূর্যের দাগ বাড়বার দিকে চলেছে । ১৯৩৮ কিংবা ১৯৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দে এর পুরো পরিমাণ বাড়তির কথা । সূর্যের দেহ থেকে যে প্রচুর আলো বেরিয়ে চলেছে তার অতি সামান্য ভাগ গ্রহগুলিতে ঠেকে। অনেকখানিই চলে যায় শূন্যে, সেকেণ্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল বেগে ; কোনো নক্ষত্রে পৌছয় চার বছরে কোনো নক্ষত্রে ত্রিশ হাজার বছরে, কোনো নক্ষত্রে ন লক্ষ বছরে । আমরা মনে ভাবি সূর্য অামাদেরই, আর তার অালোর দানে আমাদেরই বেশি দাবি । কিন্তু এত আলোর একটুখানি মাত্র আমাদের ছুয়ে যায়। তার পরে সূর্যের এই আলোকের দূত সূর্যে আর ফেরে না, কোথায় যায়, বিশ্বের কোন কাজে লাগে কে জানে। জ্যোতিষ্ক লোকদের সম্বন্ধে একটা আলোচনা বাকি রয়ে