পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ বিশ্ব-পরিচয় গেল । কোথা থেকে নিরস্তর তাদের তাপের জোগান চলছে, তার সন্ধান করা দরকার পরমাণুদের মধ্যে। ইলেকট্রন প্রোটনের যোগে এক আউন্স হেলিয়মের সৃষ্টিকার্যে যে তেজের উদ্ভব হোতে পারে হিসেব ক’রে দেখা গেছে, তাতে একশো ঘোড়দৌড় শক্তির কল রাত্রিদিন আট বছর ধরে চালানো যেতে পারে । এ তো গ’ড়ে তোলবার কথা । কিন্তু বস্তু ধ্বংস করতে তার চেয়ে অনেকগুণ তীব্র শক্তির প্রয়োজন । প্রোটনে ইলেকট্রনে যদি সংঘাত বাধে তাহলে সুতীব্র কিরণ বিকিরণ ক’রে তখনি তা’রা মিলিয়ে যাবে। এতে যে প্রচণ্ড তেজের উদ্ভব হয় তা কল্পনাতীত । এই রকম কাগুটাই ঘটছে নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে । সেখানে। বস্তুধ্বংসের কাজ চলছে ব’লেই অনুমান করা সংগত । এই মত অনুসারে সূর্য তিনশো ষাট লক্ষ কোটি টন ওজনের বস্তুপুঞ্জ প্রত্যহ খরচ ক’রে ফেলছে । কিন্তু সূর্যের ভাণ্ডার এত বৃহৎ যে আরো বহু বহু কোটি বৎসর এই রকম অপব্যয়ের উদামত। চলতে পারবে । কিন্তু বত মান বিশ্বের আয়ু সম্বন্ধে যে শেষ হিসেব অবধারিত হয়েছে সেটা মেনে নিলে বস্তু ভাঙনের চেয়ে বস্তু গড়নের মতটাই বেশি খাটে । যদি ধরে নেওয়া যায় যে এক সময়ে সূর্য ছিল হাইড্রোজেনের পুঞ্জ, তাহলে সেই হাইড্রোজেন থেকে হেলিয়ম গড়ে উঠতে যে তেজ জাগবার কথা সেটা এখনকার হিসাবের সঙ্গে মেলে, অর্থাৎ একশে৷ হাজার দশ লক্ষ বছর । অতএব এই বিশ্বজগৎটা ধ্বংসের দিকে, না, গ'ড়ে ওঠবার