পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গ্রহণযোগ্য করার পক্ষে। হিসাবের গরমিল যেখানে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে সেই মতকেই দিতে হয়েছে বাতিল করে। ঘূর্ণিবেগের মাত্রা প্রায় ঠিক রেখে যে দুএকটি মতবাদ এতকাল টিকে ছিল তাদের বিরুদ্ধেও নূতন বিপ্ন এসে উপস্থিত হয়েছে। আমেরিকার Princeton বিশ্ববিদ্যালয়ের মানমন্দিরের ডিরেক্টর Henry Norris Russell সম্প্রতি জীন্স ও লিটনের মতবাদের যে-বিরুদ্ধ সমালোচনা করেছেন তাতে মনে হয় কিছুদিনের মধ্যেই এদেরও বিদায় নিতে হবে গ্রহণযোগ্য মতবাদের পর্যায় থেকে, পূর্ববর্তী বাতিল-করাদের পাশেই হবে এদের স্থান। নক্ষত্রের সংঘাতে গ্রহলোকের সৃষ্টি হোলে জ্বলন্ত গ্যাসের যে-টানাসূত্র বের হয়ে আসত তার তাপমাত্রা এত বেশি হোত যে এই বাষ্পপিণ্ডের বিভিন্ন অংশ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত। কিন্তু অতিদ্রুত তাপ ছড়িয়ে দিয়ে এই টানাসূত্র ঠাণ্ডা হয়ে একটা স্থিতি পেতে চাইত। এই দুই বিরুদ্ধশক্তির ক্রিয়ায়, মুক্তি আর বন্ধনের টানাটানিতে কার জিত হবে তাই নিয়েই Henry Russell আলোচনা করেছেন। আমাদের কাছে দুর্বোধ্য গণিতশাস্ত্রের হিসাব থেকে মোটামুটি প্রমাণ হয়েছে যে টানাসূত্রের প্রত্যেকটি পরমাণু তেজের প্রবল অভিঘাতে বিবাগী হয়ে মহাশূন্যে বেরিয়ে পড়ত, জমাট বেঁধে গ্রহলোক সৃষ্টি করা তাদের পক্ষে সম্ভব হোত না। যে-বাধার কথা

১২৫