পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বপরিচয়

সাহায্যে এই বাঁকা আকাশের ঝোঁক হিসেব করে জানা যায় সে কজন লোকেরই বা আয়ত্তে আছে।

 যাই হোক ইংরেজিতে যাকে গ্রাভিটেশন বলে তাকে মহাকর্ষ না বলে ভারাবর্তন নাম দিলে গোল চুকে যায়।

 আমাদের এই যে নক্ষত্রজগৎ, এ যেন বিরাট শূন্য আকাশের দ্বীপের মতো। এখান থেকে দেখা যায় দূরে দূরে আরো অনেক নক্ষত্র দ্বীপ। এই দ্বীপগুলির মধ্যে সবচেয়ে আমাদের নিকটের যেটি, তাকে দেখা যায় অ্যাণ্ড্রোমীডা নক্ষত্রদলের কাছে। দেখতে একটা ঝাপসা তারার মতো। সেখান থেকে যে আলো চোখে পড়ছে সে যাত্রা করে বেরিয়েছে ন লক্ষ বছর পূর্বে। কুণ্ডলীচক্র-পাকানো নীহারিকা আরো আছে আরো দূরে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে দূরবর্তীর সম্বন্ধে হিসাবে স্থির হয়েছে যে, সে আছে তিন হাজার লক্ষ আলো-বছর দূরত্বের পথে। বহুকোটি নক্ষত্র-জড়ো-করা এইসব নক্ষত্রজগতের সংখ্যা একশো কোটির কম হবে না।

 একটা আশ্চর্যের কথা উঠেছে এই যে, কাছের দুটো-তিনটে ছাড়া বাকি নক্ষত্রজগৎগুলো আমাদের জগতের কাছে থেকে কেবলি সরে চলেছে। যেগুলি যত বেশি দূরে তাদের দৌড়-বেগও তত বেশি। এইসব নক্ষত্রজগতের সমষ্টি নিয়ে

৬০