পাতা:বিশ্বভারতী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বভারতী

সেই সুরটি কি ভোরের আলোয় ফুটে উঠবে না?’••• —তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, বৈশাখ ১৩২০। প্রবাসী, জ্যৈষ্ঠ

১৩২০, কষ্টিপাথর

 ‘লস এঞ্জেল‍্স্। ১১ অক্টোবর ১৯১৬। ••• তার পরে এও আমার মনে আছে যে, শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে ভারতের যোগের সূত্র করে তুলতে হবে— ঐখানে সার্বজাতিক মনুষ্যত্বচর্চার কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে— স্বাজাতিক সংকীর্ণতার যুগ শেষ হয়ে আসছে— ভবিষ্যতের জন্য যে বিশ্বজাতিক মহামিলনযজ্ঞের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তার প্রথম আয়োজন ঐ বোলপুরের প্রান্তরেই হবে। ঐ জায়গাটিকে সমস্ত জাতিগত ভূগোলবৃত্তান্তের অতীত করে তুলব এই আমার মনে আছে— সর্বমানবের প্রথম জয়ধ্বজা ঐখানে রোপণ হবে।’

—চিঠিপত্র ২

 ‘•••বিশ্বভারতীর উদ্যোগ। গত [১৩২৫] ৮ই পৌষে তাহার সূচনা হয় এবং গত বৎসরই চিত্র, সংগীত প্রভৃতি কলা এবং সংস্কৃত, পালি, ইংরেজি প্রভৃতি সাহিত্যের অধ্যাপনার কাজ আরম্ভ হয়।’ ‘গত বৎসর [১৩২৫] ৮ই পৌষে আশ্রমের বার্ষিক উৎসবের দিনে বিশ্বভারতী স্থাপিত হয়, এবং বর্তমান বৎসরে [১৩২৬] ১৮ই আষাঢ় ইহার নিয়মানুযায়ী

১৭০