পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিদ্রনারায়ণের মোহভঙ্গ কিন্তু বিখ্যাত রুশীয় লেখক (এম ইলিন ), সম্রাটের মোহর-বসানো হকুমনামার নম্বর তারিখ ধরে দিয়েছেন – নং ১১৪৭, ৬ই জুন, ১৮৭৩। তা ছাড়া, ভেবে দেখতে গেলে, নিরীহের উপর চোটপাট করে বাহাদুরি নিতে কোন পেশাদার বীর কৰে কোথায় নারাজ হয়েছে। চাষার গল্প ফসলখেতে ফলবাগানে রেলগাড়ি করে জল যোগাতে হলে জমির বিঘে পিছু আস্ত এক ট্ৰেন জলের টাকি দরকার হত,–ভাগ্যিস তা করতে হয় না। তবে রেলেরই মতো বাধা পথে জল আসাযাওয়ার চক্কর খায়। আসার লাইন আকাশের ভিতর দিয়ে—লাগর থেকে ডাঙা ; ফেরত লাইন মাটির উপর দিয়ে—ডাঙা থেকে সাগর। ফিরতি পথে, নদী বেয়ে যাবার সময়, জলে বিস্তর মাল বোঝাই থাকে,—এ টেলমাটি, রকম বেরকমের মুন, কিছু কিছু ধাতু, প্রাণীর দেহপুষ্টির কাজে লাগে এমন অনেক জিনিল ; শেষে এগুলোকে সমুদ্রে ঢেলে দিয়ে, মেঘ হয়ে, জল আকাশপথে হালকা চলে আসে। ঐ মাল যদি সব-কে-সব সমুদ্রে ফেলা যেত, তাহলে ডাঙার জমি ক্রমশ অসার হয়ে, প্রাণী বাচিয়ে রাখার অযোগ্য হয়ে পড়ত। কিন্তু গাছের কল্যাণে ধরিত্রীর সে দশ ঘটতে পায় না। গাছ করে কী, জল সমুদ্রে যাবার সময় তাকে নিজের মধ্যে একক্ষেপ ঘুরিয়ে এনে দেশের মাটির তেজ বজায় রাখে। এই যে ব্রাঞ্চ লাইন, মাটি —গাছ, গাছ—মাটি, এর ভিতর দিয়ে জল চলার সময় গাছ নানা রকম ক্রিয়া করতে থাকে। - ১ প্রথম দুই পালায় বগা অনেক বৃত্তান্ত এই লেখকের ( মেন্ট এ্যাও মাউনটেনল ) ৰই থেকে নেওয়া । Уtъ