পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ : যোগ্যং যোগ্যেন যোজয়েং 资朝 নমস্তস্তৈ নমস্তস্তৈ নমস্তস্তৈ নমো নমঃ । যা দেবী ঘরবারেষু কাটাহস্তেন সংস্থিত। नभस्त्रोच्च नमस्त्रोश नमस्त्रोच्च नटमा नभः । যা দেবী মম গৃহেষু পেত্নীরূপেণ সংস্থিত। নমস্তস্তৈ নমস্তস্তৈ নমস্তস্তৈ নমো নমঃ । তার পর—মালিনী মাসি।—কি মনে ক’রে ?” হীরা ইতিপূৰ্ব্বে বৈষ্ণবীর সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া দিনমানে জানিয়া গিয়াছিল যে, হরিদাসী বৈষ্ণবী ও দেবেন্দ্র বাবু একই ব্যক্তি। কিন্তু কেন দেবেন্দ্র বৈষ্ণবী-বেশে দত্তগুহে যাতায়াত করিতেছে ? এ কথা জানা সহজ নহে। হীরা মনে মনে অত্যন্ত হুঃসাহসিক সঙ্কল্প করিয়া, এই সময়ে স্বয়ং দেবেন্দ্রের গৃহে আসিল । সে গোপনে উদ্যানমধ্যে প্রবেশ করিয়া জানেলার কাছে দাড়াইয়া দেবেন্দ্রের কথাবার্তা শুনিয়াছিল। স্বরেন্দ্রের সঙ্গে দেবেন্দ্রের কথোপকথন অন্তরাল হইতে শুনিয়া হীরা সিদ্ধমনস্কাম হইয়া ফিরিয়া যাইতেছিল, যাইবার সময় অসাবধানে খড়খড়ি ফেলিয়া দিয়াছিল—ইহাতেই গোল বাধিল । * এখন হীরা পলাইবার জন্য ব্যস্ত। দেবেন্দ্র তাহার হাতে আবার-মদের গেলাস দিল । হীরা বলিল, “আপনি খান।” বলিবামাত্র দেবেন্দ্র তাহা গলাধঃকরণ করিলেন। সেই গেলাস দেবেশ্রের পূর্ণ মাত্রা হইল—দুই একবার ঢুলিয়া—দেবেন্দ্ৰ শুইয়া পড়িলেন। হীরা তখন উঠিয়া পলাইল । দেবেন্দ্র তখন ঝিম্কিনি মারিয়া গাইতে লাগিল – “বয়স তাহার বছর ষোল, দেখতে শুনতে কালো কোলো, 彎 পিলে অগ্রমাসে মোলো, আমি তখন খানায় পোড়ে ।” সে রাত্রে হীরা আর দত্তবাড়ীতে গেল না, আপন গৃহে গিয়া শয়ন করিয়া রহিল। পরদিন প্রাতে গিয়া সূৰ্য্যমুখীর নিকট দেবেন্দ্রের সংবাদ বলিল। দেবেন্দ্র কুন্দের জন্য বৈষ্ণবী সাজিয়া যাতায়াত করে। কুন্দ যে নির্দোষী, তাহ হীরাও বলিল না, সূৰ্য্যমুখীও বুঝিলেন না। হীরা কেন সে কথা লুকাইল—পাঠক তাহী ক্রমে বুঝিতে পারিবেন। সূৰ্য্যমুখী দেখিয়াছিলেন, কুন্দ বৈষ্ণবীর সঙ্গে চুপি চুপি কথা কহিতেছে—মুতরাং সূৰ্য্যমুখী তাহাকে দোষী মনে করিলেন। হীরার কথা শুনিয়া সূৰ্য্যমুখীর নীলোৎপললোচন রাঙ্গণ হইয়া উঠিল । তাহার কপালে শিরা স্থূলতা প্রাপ্ত হইয়া প্রকটিত হইল। কমলও সকল kr