পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দারোগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

 সেই মৃতদেহটী পূর্ব্বে সেই ঘাটের কর্ম্মচারী নিজচক্ষে দেখিয়াছিলেন, এবং উহাতে বিসূচিকারোগের কোনরূপ লক্ষণ দেখিতে না পাইয়াই তাহার মনে সন্দেহ হয়, এবং সেই সন্দেহের উপর নির্ভর করিয়া তিনি থানায় সংবাদ প্রেরণ করেন। তিনি স্বচক্ষে উহা দর্শন করিলেও আমি তাঁহার কথার উপর সম্পূর্ণরূপ নির্ভর না করিয়া, নিজ চক্ষে সেই মৃতদেহটা পুনরায় দেখিবার ইচ্ছা করিলাম।


দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।

―――→○◇○←―――

 রাজচন্দ্র দাস ইতিপূর্ব্বে আমাকে বলিয়াছিলেন যে, তাঁহার এক চপেটাঘাতে রসিক ইহজীবন পরিত্যাগ করিয়াছে। সেই মৃতদেহ দেখিবার আমার প্রধান উদ্দেশ্য এই হইল যে, তাহার গণ্ডদেশে চপেটাঘাতের কোনরূপ চিহ্ন বর্ত্তমান কি না।

 মনে মনে এইরূপ স্থির করিয়া, সেই কর্ম্মচারীকে সঙ্গে লইয়া রসিকের মৃতদেহটী উত্তমরূপে দেখিতে লাগিলাম। উহার গণ্ডদেশে বিষম চপেটাঘাতের কোনরূপ চিহ্নই দেখিতে পাইলাম না। সেইস্থানে সেই সময় যে ডোম উপস্থিত ছিল, তখন তাহাকে সেই মৃতদেহ সম্পূর্ণরূপে বিবস্ত্র করিতে কহিলাম। আদেশমাত্র উহার অঙ্গে যে সকল বস্ত্র ছিল, তাহা খুলিয়া সে দূরে রাখিয়া দিল। দুইটী বাতীর সাহায্যে সেই মৃতদেহের সমস্ত অঙ্গ অতি উত্তমরূপে দেখিলাম, কোনস্থানেই বিশেষ কোনরূপ চিহ্ন প্রথমতঃ পরিলক্ষিত হইল না; কিন্তু অনেক অনুসন্ধানের পর, উহার