পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
দারোগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

কর্ত্তৃকই ইহার বক্ষঃস্থলে প্রবিষ্ট হইয়া থাকে, তাহা আপনি এখন বলিতে পারেন। যখন নিজের দোষ স্বীকার করিতে আপনা হইতেই আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন, তখন প্রকৃত যাহা ঘটিয়াছিল, তাহাই প্রকাশ করা এখন আপনার সম্পূর্ণরূপে কর্ত্তব্য। কতক সত্য, কতক মিথ্যা বলিয়া আমাদিগকে নিরর্থক কষ্ট দেওয়া আপনার কর্ত্তব্য নহে। কারণ, অনুসন্ধানে পরিশেষে সমস্তই বাহির হইয়া পড়িলে, কোন কথাই গোপন থাকিবে না।

 আমার কথার উত্তরে রাজচন্দ্র দাস কহিলেন, আমি আপনার নিকট প্রকৃত কথাই বলিয়াছি, কোন কথা গোপন করি নাই। যদি কোন কথা গোপন করিবার ইচ্ছা থাকিত, তাহা হইলে আমি নিজ ইচ্ছায় থানায় গমন করিয়া আত্মসমর্পণ করিব কেন? এ সম্বন্ধে আপনারা কিছুই জানিতেন না, কে হত হইল বা কাহা-কর্ত্তৃক হত হইল, এ সংবাদ আপনাদিগের নিকট আসিয়া উপস্থিত হয় নাই। সুতরাং আমি যে আপনাদিগের কর্ত্তৃক ধৃত হইব, তাহারই বা সম্ভাবনা কি ছিল? এরূপ অবস্থায় আমি নিজে আপনার নিকট আসিয়া আত্মসমর্পণ করিব কেন? পূর্ব্ব হইতে উহার বক্ষস্থলে যদি কোনরূপ লৌহপেরেক আবদ্ধ হইয়া থাকে, তাহা আমি অবগত নহি। কিন্তু আমি উহাকে কেবলমাত্র একটি ভিন্ন চপেটাঘাত করি নাই, সেই চপেটাঘাতের পরেই সে সেইস্থানে পড়িয়া যায় ও তাহার মৃত্যু হয়। সুতরাং আমার অনুমান হয় যে, আমার চপেটাখাতেই উহার মৃত্যু হইয়াছে।

 রাজচন্দ্র দাসের কথা শুনিয়া আমি সেই সময় কিছুই স্থির করিয়া উঠিতে পারিলাম না। রাজচন্দ্র যাহা বলিতেছিলেন, তৎসম্বন্ধে একটু ভাবিয়া দেখিলাম। দেখিলাম, এ পর্য্যন্ত যতদূর