পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
দারােগার দপ্তর, ১৪০ সংখ্যা।

কেহ যে সেইস্থানে দেখিয়াছেন বা উহার মৃত্যু সম্বন্ধে কোন কথা যে কেহ শ্রবণ করিয়াছেন, তাহা কিন্তু কেহই বলিলেন না। এখন যথার্থই জানিতে পারিলাম যে, রাজচন্দ্র দাস যে সকল কথা বলিতেছেন, তাহা সত্য নহে—মিথ্যা। রসিক ঐ স্থানে হত হয় নাই, বা ঐ স্থান হইতে তাহার মৃতদেহ কেহ স্থানান্তরিত করে নাই। এইরূপ অনুসন্ধানের পরও কিন্তু রাজচন্দ্র দাস তাঁহার কথার কোনরূপ পরিবর্ত্তন করিলেন না, পূর্ব্ব হইতে যাহা বলিতেছিলেন, এখনও তাহাই বলিতে লাগিলেন।

 ইহার পর রাজচন্দ্র দাসকে লইয়া তাঁহার বাড়ীর ভিতর আমি প্রবেশ করিলাম। ঐ বাড়ীতে কেবলমাত্র তাঁহার স্ত্রী ও তাঁহার স্ত্রীর ভ্রাতা ভিন্ন আর কেহই ছিল না। তাঁহাদিগের নিকট হইতে জানিতে পারিলাম, তাঁহারা দুইজন ও রাজচন্দ্র ভিন্ন অপর আর কেহই ঐ বাড়ীতে বাস করে না, চাকর চাকরাণী প্রভৃতিও বিশেষ কেহ নাই। কেবলমাত্র একটী চাকর আছে, সে তাহার কার্য্যাদি শেষ করিয়া সন্ধ্যার পরই তাহার নিজের বাসায় গমন করিয়া থাকে, পরদিবস প্রাতঃকাল ভিন্ন সে আর প্রত্যাগমন করে না। উহাদিগকেও জিজ্ঞাসা করিয়া বিশেষ কোনরূপ কথাই প্রাপ্ত হইলাম না। ঐ বাড়ীর যে ঘরটীর কথা পূর্ব্বে বলা হইয়াছে, অর্থাৎ রসিকের ঘরের দিকে যে ঘরের জানালা আছে, সেই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম, রাজচন্দ্র দাসের বাড়ীর মধ্যে ঐটীই সর্ব্বপ্রধান ও উৎকৃষ্ট ঘর। রাজচন্দ্র দাস ও তাঁহার যুবতী ভার্য্যা ঐ ঘরেই বাস করিয়া থাকেন। ঐ ঘরের যে জানালা রসিকের ঘরের দিকে স্থাপিত, তাহা বন্ধ করিয়া না রাখিলে ঐ ঘরে কি হইতেছে না হইতেছে,