পাতা:বিষম বুদ্ধি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ।

◇◇◇◇◇◇

 এই অনুসন্ধান বন্ধ হইয়া গেল, রাজচন্দ্র দাস অব্যাহতি পাইয়া নিজ কার্য্যে মনোনিবেশ করিলেন, আমরাও অপরাপর কার্য্যে নিযুক্ত থাকিয়া দিনযাপন করিতে লাগিলাম। ঐ অনুসন্ধান শেষ হইয়া যাইবার পর অন্য কার্য্যে নিযুক্ত থাকিলেও আমি কিন্তু এই ঘটনাটী একেবারে ভুলিয়া যাইতে পারিলাম না। রসিকের মৃত্যুর কারণ জানিবার নিমিত্ত আমার মনে যে কৌতূহল প্রথম হইতে উদিত হইয়াছিল, তাহা কিন্তু কোন রূপেই দূর করিতে পারিলাম না; সুতরাং যে কোন কার্য্যে নিযুক্ত থাকি না কেন, ঐ হত্যারহস্যের দিকে আমার সদাসর্ব্বদা লক্ষ্য রহিল। রাজচন্দ্র দাসের গৃহকার্য্য নির্ব্বাহ করিবার জন্য এখন যে সকল চাকর চাকরাণি নিযুক্ত হইত, আমি প্রায়ই তাহাদিগের সহিত আলাপ পরিচয় রাখিতাম, তাহাদিগের নিকট হইতে উহার বাড়ীর ভিতরের অবস্থা জানিয়া লইতে সর্ব্বদাই চেষ্টা করিতাম; কারণ আমার মনে কেমন একরূপ দৃঢ়বিশ্বাস জন্মিয়াছিল যে, রসিকের হত্যা সম্বন্ধে রাজচন্দ্র দাসের বাড়ীর কেহ না কেহ সংশ্লিষ্ট আছে, ও থানায় হঠাৎ যাইয়া রাজচন্দ্র দাসের আত্মসমর্পণ করার বিশেষ কোনরূপ উদ্দেশ্য ছিল।

 এইরূপে প্রায় এক বৎসর অতিবাহিত হইয়া গেল। রাজচন্দ্র দাসের বাড়ীর সে সকল পুরাতন চাকর চাকরাণী ছিল, ক্রমে ক্রমে তাহারা সকলেই অবসর গ্রহণ করিয়া অপর স্থানে গমন